হুতিদের হামলা না চালানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:২৪
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবে হামলা না চালানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সে প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মতে, ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধে এটি দৃঢ় ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এতথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালায় হুতি বিদ্রোহীরা। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও দেশটি তা অস্বীকার করেছে।
হুতি সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের প্রধান মাহদি আল-মাসহাতি এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জানান, সৌদি আরবে মিসাইল, ড্রোনসহ সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখবে সংগঠনটি। তবে সৌদি আরবের কাছ থেকেও একই ধরনের মনোভাব আশা করছে তারা।
ইয়েমেনের সব দল ও সংগঠনকে সামনে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মাহদি আল-মাসহাতি। তবে তার মতে, পরিস্থিতি না বদলালে জবাব দেওয়ার অধিকার হুতিরা রাখে।
এদিকে ইয়েমেনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথ হামলা বন্ধে হুতিদের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। তার পক্ষে দেওয়া এক বিবৃতি বলা হয়, হুতিদের আগ্রহের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া ও সহিংসতা বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
২০১৫ সালে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নিয়ে প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে। হাদি পরবর্তীতে সৌদি আরব পালিয়ে গেলেও তার অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেয়।
এদিকে হুতিদের পেছনে ইরানের সমর্থন থাকায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরো ৭টি মিত্র দেশ হাদি সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা সৌদি জোটকে সামরিক সহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
হাদি সৌদি আরব থেকে মাঝেমাঝে ইয়েমেনে এসে তার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের সরকার পরিচালনার চেষ্টা করেন। জাতিসংঘ উভয়পক্ষের সমঝোতার চেষ্টা করেছে। গৃহযুদ্ধের ফলে ইয়েমেনে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইয়েমেন পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।