‘পুলিশের ওপর হামলার বোমা তৈরি হতো ফতুল্লার আস্তানায়’
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:২২
ঢাকা: সম্প্রতি ঢাকার খামারবাড়ি, মালিবাগ, গুলিস্তান, সায়েন্সল্যাবে পুলিশের ওপর হামলায় যে বোমা হামলা হয়েছিল, তার সঙ্গে এই জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা ও বিস্ফোরকের মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকার একটি জঙ্গি আস্তানায় চলমান অভিযানের বিষয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘জঙ্গিদের অন্যান্য আস্তানায় যে ধরনের ল্যাব বা কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে, তার চেয়ে ফতুল্লার এই ল্যাবটি ভিন্ন।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান, গতকাল রোববার রাতে জামাল উদ্দিন রফিক নামে নব্য জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বোমা তৈরির ল্যাবের সন্ধান পাওয়া যায় এবং সেখানে সোমবার অভিযান চালিয়ে শক্তিশালী বোমা, ডেটোনেটরসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে ধ্বংসের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, নব্য জেএমবির জামাল উদ্দিন রফিকের তথ্যে তক্কার মাঠ এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত উপ মহাব্যবস্থাপাক জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের আগে রফিকের ভাই ফরিদ উদ্দিন রুমি ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফোয়ারা অনুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ফতুল্লার জঙ্গি আস্তানাটি বোমা তৈরির ল্যাব
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রফিক এবং ফরিদ দুইজনই নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তারা এই নেটওয়ার্কের আরও কিছু জঙ্গি সদস্যের নাম বলেছে। তাদের ধরতে সিটিটিসির একাধিক টিম কাজ করছে। রফিক ও ফরিদ দুই ভাই এই আস্তানাটিতে বেশ কিছুদিন ধরে অবস্থান নিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করছিল বলেও জানান সিটিটিসি প্রধান।
এর আগে, সোমবার ভোর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। টিনসেডের বাড়িটি তক্কার মাঠ এলাকায়।