চট্টগ্রামে ‘খালখাদক’ দুই ভাইকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: খাল দখল করে ভবন নির্মাণের অপরাধে জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই ভাইকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে ভবনটি অপসারণ করে খালটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় মোগলটুলি খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান চালান সিডিএর বিশেষ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী।
খাল দখলে সাজা পাওয়া দুই ভাই শামসুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম মাঝিরঘাটের স্ট্র্যান্ড রোডের নুরুল ইসলামের ছেলে।
সিডিএর বিশেষ আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ সারাবাংলাকে জানান, মোগলটুলি খালের ওপর স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশে দুই ভাই মিলে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেন। খালের মধ্যে পিলার স্থাপন করে নিচে পানির প্রবাহ সংকুচিত করে দুই পাড় দখল করে বানানো হয় ভবনটি। উচ্ছেদের সময় ভবনটি দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ দেন মালিক দুজনকে আটক করার জন্য। তাদের আটক করে সিডিএ ভবনে নেওয়া হয়। এছাড়া ভবনের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। সিডিএ ভবনে আদালতের সামনে দুই ভাই ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।
আদালত দুজনের প্রত্যেককে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সমপরিমাণ টাকা ক্ষতিপূরণসহ মোট পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সিডিএ আইন-২০১৮ এর ৪ ধারা এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ এর ৮ ধারায় তাদের এই অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে ভবন অপসারণ করা হবে বলে তারা আদালতে মুচলেকা দেন।
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে একনেকে পাশ হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়। ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে খালের আবর্জনা অপসারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রকল্পের কার্যক্রম।
এরপর প্রকল্পের আওতায় গত (২০১৯ সাল) আগস্ট থেকে ৩৬টি খাল খনন ও সংস্কার কাজে নেমেছে সিডিএ ও সেনাবাহিনী। তিন পর্যায়ে খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। প্রথম দফায় গুরুত্ব অনুযায়ী ১৩টি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।