শত্রুকে খুশি রাখার কৌশল শিখতে হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৫৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার ২৮০ জন অতিথিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইনজি স্পিডিয়াম হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট কতৃপক্ষ। তবে সমস্যাটি থাকার জায়গা নিয়ে নয়, সমস্যা দেখা দিয়েছে কিভাবে মোকাবেলা করবেন শক্রপক্ষকে, সে ব্যাপারে।
হোটেলর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন করে শিখতে হচ্ছে কিছু ভাষা, জানতে হচ্ছে কিভাবে কী ভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।
হবেই বা না, কেন? একই নৃগোষ্ঠির মানুষ হয়েও ১৯৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে বিভক্ত হয়ে গেছে দুই দেশ। এর পর রীতিমতো একে অপরের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। একজন আরেক জনের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগই রাখেনি।
এ সময়ের মধ্যে দুদেশের অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। যেমন, দক্ষিণ কোরিয়াতে শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের মতো ইংরেজি শব্দগুলো হরহামেশা ব্যবহার করা হলেও উত্তর কোরিয়াতে এ ধরণের শব্দের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব কিছু শব্দ ব্যবহার হয়।
এ ছাড়া উত্তর কোরিয়াতে খাবারেরও নিজস্ব কিছু নাম রয়েছে। যেগুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন, দক্ষিণ কোরিয়াতে সবজিকে ‘চেইসো’ বলা হলেও উত্তর কোরিয়াতে বলে ‘ন্যামসে’।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়াতে আসা অতিথিদের সঙ্গে কী করতে হবে, কী করা যাবে না তার একটা তালিকা আগে থেকেই কর্মীদের সরবরাহ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
এ ছাড়া প্রথমবারের মতো শীতকালীন অলিম্পিকে আইস হকি টিকে উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া খেলছে একই টিমে। সেখানেও দেখা দিয়েছে ভাষাগত কিছু সমস্যা। একটি টিমে তিনটি ভাষার ব্যবহার করা লাগছে। দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়রা মাঝে মধ্যেই ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করছে যেটা বুঝতে পারছে না উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়রা। আবার উত্তর কোরিয়ার ভাষাও বুঝছে না দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়রা। ফলে টিমের সমন্বয়ের জন্য একই সঙ্গে তিনটি ভাষা ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, কোচ সারাহ মুরেহ।
তবে খেলার সময় একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তারা কমন কিছু শব্দ বেছে নিয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
চই বক-মু নামের দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ফিটনেস ক্লাব ম্যানেজার জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার কোন সমস্যা হচ্ছে না।
তবে তিনি জানান, গেমস শুরু হওয়ার আগে থেকে তাদের ওপর নির্দেশনা ছিলো উত্তর কোরিয়ার অতিথিদের সামনে ‘নিউক’ পারমাণবিক অস্ত্র বা মিজাইল এ জাতীয় শব্দ উচ্চারণ না করার জন্য।
সারাবাংলা/এমআই