রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি, ইসির ৩ কর্মচারী রিমান্ডে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কেলেঙ্কারির মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তিন অস্থায়ী কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মো. নোমান এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
তিন অস্থায়ী কর্মচারী হলেন- মো. শাহীন (২৯), মো. জাহিদ হাসান (৩৩) ও পাভেল বড়ুয়া (২৮)। এদের মধ্যে শাহীন কোতোয়ালী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, পাভেল ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জাহিদ বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তার অধীনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এসি শাহাবুদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। শুনানির পর আদালত দুইদিন মঞ্জুর করেছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেনে আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন থেকে চার কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যান তদন্তকারী সংস্থা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া। রাতে তিনজনকে কোতোয়ালী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। একজনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর তিনজনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া। ওই আবেদনের ওপর মঙ্গলবার শুনানি হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দুজন হল- জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে রেখেছিলেন জয়নাল। রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় জয়নালকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জয়নাল আবেদিন আদালতে জবানবন্দি দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জয়নালের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুক নামে নির্বাচন কমিশনের আরেকজন অস্থায়ী কর্মচারীকে ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তার কাছ থেকেও নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।