Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রযুক্তি দিয়ে উপজেলায় কৃষি উন্নয়ন : ব্যয় ৩১৪ কোটি টাকা


১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:০৮

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১০৬ উপজেলায় কৃষি উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে এবার তৃতীয় পর্যায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলের অর্থে ‘উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (তৃতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিধপ্তর।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় টেকসই কৃষি ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সুযোগ সৃষ্টি, খাদ্য উৎপাদনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ, কৃষি বহুমুখীকরণ ও উদ্যান ফসলের প্রসার, কৃষি সম্প্র্রসারণ ও গ্রামীণ মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক জলবায়ুর সঙ্গে কৃষির অভিযোজন, কৃষক প্রশিক্ষণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ও কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ সেবা জোরদার করা হবে। তাই প্রকল্পটি এ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ইতোমধ্যেই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠানের সদস্য এ. এন. সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, কৃষক প্রশিক্ষণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ কৃষি প্রধান একটি দেশ। বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি যোগানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম সুষ্ঠু ব্যবহার করা প্রয়োজন। দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য পরিবেশবান্ধব টেকসই লাভজনক কৃষি উৎপাদন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার সঙ্গে কৃষির আয়োজন কৌশল এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণ জনপ্রিয় করার জন্য আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। অধিক ফসল উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন বহুলাংশে ফসল উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর নির্ভরশীল। টেকসই কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা বিধান ও কৃষকের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষকদের আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করা এবং মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর আগে ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে মোট ১৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১১ সালের জুলাই হতে ২০১৭ সালে জুনে দেশের ৪৭টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়। পরবর্তীকালে বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকল্পটির কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রকল্প এলাকায় ফসলের ফলন ও শস্য নিবিড়তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকল্প সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রণয়ন করে। প্রতিবেদনে কৃষক প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে যে সব উপজেলাতে কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই, ভবিষ্যতে সেগুলোতে কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। আইএমইডির সুপারিশে উপজেলা পর্যায়ে ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ২০টি ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৩১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি হতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে।

সারাবাংলা/জেজে/আইজেকে/এসআই

কৃষি উন্নয়ন প্রযুক্তি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

সম্পর্কিত খবর