Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যবসা পরিচালনার সূচকে অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয়: বিডা


২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:১২

ঢাকা: ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনিযুক্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বিডা।

বিডা’র নবনিযুক্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে তার কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীরের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদ সাক্ষাৎ করতে গেলে বিডার চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের অবশ্যই পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

অর্থনীতির উন্নয়নের গতিবেগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিমণ্ডল বিবেচনায় বিদ্যমান কোম্পানি আইনের সংস্কার এবং তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো এতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে প্রায় ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে এর পরিমাণ ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেটি ২০১৭ সালে ছিল ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময় তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প-কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক বলেও মন্তব্য করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরও সচল রাখার জন্য বাণিজ্য বিষয়ক সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন, আমদানি-রফতানি নীতিমালাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য নীতিমালার সংস্কার এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর ওপর গুরুত্ব দেন।

ডিসিসিআই সভাপতি প্রাস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে (এসইজেড) দ্রুততম সময়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ অন্যান্য সব ধরনের সেবার সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বেজা, পিপিপি কর্তৃপক্ষ ও বিডার সমন্বয় আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি।

ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে আমাদের বিশেষ করে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। এ সময় তিনি বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘময়োদি অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেট চালু ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই পরিচালক আশরাফ আহমেদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, মো. রাশেদুল করিম মুন্না, নূহের লতিফ খান অংশগ্রহণ করেন। তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে দ্রুততার সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সেবা চালু করা, এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ব্যবসা কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক প্রস্তাবিত কোম্পানি আইনের সংস্কার এবং ব্যাংক ঋণের সুদের কামানোর প্রস্তাব করেন।

বিজ্ঞাপন

বিডা বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর