মাটির নিচে চাপা পড়ছে কোটি টাকার ফেরি
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫৭
মাসুম খান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
পটুয়াখালী: সড়ক ও জনপদ বিভাগের অযত্ম আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার ৯টি ফেরি। মরিচা পড়ে ক্ষয় হচ্ছে সেগুলো। রাতের আধারে চুরি হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। চুরি থেকে রেহাই পাচ্ছে না নাটবল্টুও। সংরক্ষণের অভাবে মাটির নিচে চাপা পড়তে যাচ্ছে ফেরি ও গ্যাংওয়ে।
২০১৬ সালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপজেলার আন্ধারমানিক, হাজিপুর সোনাতলা, মহিপুর শিববাড়িয়া নদীর উপর শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতু নির্মিত হয়। সেতুগুলো নির্মাণের আগে কুয়াকাটায় যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম ছিল ফেরি। সেতু চালু হওয়ার পর ফেরিগুলো রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন কাদামাটিতে পড়ে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়ার নীলগঞ্জ খেয়াঘাটের উভয় পাশের চরে ৯টি ফেরি ও একটি গ্যাংওয়ে পড়ে রয়েছে। হাজীপুর খেয়াঘাটের চরে একটি পন্টুন পড়ে রয়েছে। সেতু নির্মাণের দুই বছর পার হলেও এ ফেরিগুলো অপসারণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন অযত্ম আর অবহেলায় কাদা মাটির সঙ্গে মিশে নষ্ট হচ্ছে ফেরিগুলো। রাতের আধারে ফেরির বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে।
হাজীপুর ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা সাব্বির রহমান জানান, অনেক দিন ধরেই এ ফেরিগুলো চরের উপর পড়ে আছে। লবণাক্ত পানি আর মাটির নিচে পড়ে ফেরিগুলো দিনে দিনে ক্ষয় হচ্ছে। কলাপাড়া ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, এ ফেরিগুলো এখন আর কোন কাজে আসছে না। রাতের আধারে ফেরির বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন জানান, অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা ফেরি, পন্টুন ও গ্যাংওয়ের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ফেরিগুলো বিক্রির জন্য টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সারাবাংলা/এমএইচ/এসআই