প্রতিবেদন দাখিল হয়নি রাজীবের হাত কাটা মামলার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:০৫
ঢাকা: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের ডান হাত হারানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। এজন্য আগামী ৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলতাফ আলী প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী প্রতিবেদনের জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন।
এই মামলার অভিযুক্তরা হলেন— রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ (৩৫) ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক খোরশেদ (৫০)। বর্তমানে তাদের দুজনই কারাগারে আছেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত বছরের ৯ মে প্রথম দিন নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন আদালত। সেদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারলে ১০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ঠিক করে দেন আদালত। এরপর একে একে গত বছরের ১৬ জুলাই, ১৩ আগস্ট, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২৫ অক্টোবর ও ২৮ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি, ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৩ মার্চ, ১৮ এপ্রিল, ২২ মে, ৮ জুলাই ও ২২ আগস্মাট মলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারিত ছিল।
যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগের একটি মেসে থাকতেন তিতুমীর কলেজের স্নাতক (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজীব। কলেজের কাছেই একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। গত বছরের ৩ এপ্রিল বাসা থেকে বেরিয়ে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে করে ওই প্রতিষ্ঠানেই যাচ্ছিলেন। বাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন পেছনের গেটে, তার ডান হাতটি গেটের কিছুটা বাইরে বেরিয়েছিল।
বিআরটিসি বাসটি কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং দুই বাসের মাঝখানে ঝুলে থাকে।
পরে রাজীবকে দ্রুত পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় রাজীবকে। শেষ পর্যন্ত ১৬ এপ্রিল দিনগত মধ্যরাতে মৃত্যু হয় রাজীবের।