জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৩৪
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডিভিশন সুবিধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেল কোড অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান রোববার আবেদনের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন। সকাল সোয়া ১১টায় শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, আমিনুল ইসলাম, মেজবাহ উদ্দিন; দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে শনিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিনিয়র পাঁচ আইনজীবী। নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্যও ছিলেন। অন্তত তিনটি বিশেষ ক্ষেত্র বিবেচনায় নিয়ে তাকে কারাগারে বিশেষ সুবিধা (ডিভিশন) দেওয়া উচিৎ। কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন সাধারণ কয়েদির মতো বন্দিজীবন শুরু করেছেন। সাধারণ কয়েদির মতো খাবার পাচ্ছেন। তাকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে বলে সরকার গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে একজন পরিচারিকা দেওয়ার কথা ছিল, সেটিও দেওয়া হয়নি।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডিভিশন সুবিধা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবীরা।
খালেদার আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী খালেদা জিয়া ডিভিশন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। অথচ তাকে গত তিনদিন ধরে সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হয়েছে। যা আইনের পরিপন্থী। আমরা এই গ্রাউন্ড রেখে আদালতে আবেদন করেছি।’
এদিকে আইনজীবী এহসানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার ডিভিশন আবেদন নিয়ে কারা অধিদপ্তরে গেছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালত।
এছাড়া রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য চারজন আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কুয়েত থেকে এতিমদের সহায়তার জন্য আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/একে