Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়া, পুলিশ’


২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:১৪

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়া দেওয়া, মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা বা পুলিশ মোতায়েনের কারণ জানতে চেয়েছে আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই সরকার এসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, কানাডিয়ান হাইকমিশনার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আলোচনার সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে উভয়পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। তবে এ নিয়ে সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা সফল করা যাচ্ছে না। সরকার জানেনা কত সময়ের মধ্যে কিংবা কতদিনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠানো যাবে। যেহেতু শিগগিরই বিষয়টা সুরাহা হচ্ছেনা, তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।’

সচিবালয়ে সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফান্তে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। আলাদা আলাদা বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তারা জানতে চান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কেনো কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। কেনই বা পুলিশ ফোর্স দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের বিষয়েও জানতে চান তারা।

বিজ্ঞাপন

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কক্সবাজার ও উখিয়াতে এগারো লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। এত সংখ্যক রোহিঙ্গা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। এরইমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটছে। প্রতিনিয়ত স্থানীয়দের মারধর করে রোহিঙ্গারা ইয়াবার বাহক হিসেবে কাজ করছে। মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুই ব্যাটালিয়ন আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে ভাষানচরও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠক শেষে দেশে ফেরার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের সমাবেশ প্রসঙ্গে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী? কূটনীতিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের জানান, সরকার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছে। রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার আদায়ে যথেষ্ট আওয়াজ তুলতে পেরেছে। আশা করা হচ্ছে, এতে করে তাদের ফিরে যেতে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়ক হবে।

রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে কূটনীতিকদের সঙ্গে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী শিশুদের মিয়ানমারের কারিক্যুলাম ভাষায় শিক্ষা দিতে এনজিওগুলোকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরো জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকলেই আন্তরিক।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে কূটনীতিকদের প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর