ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অন্যায় যে করে, তাকে ধরার সাহস একমাত্র শেখ হাসিনারই আছে। সে যে দলেরই হোক, যে কেউ হোক।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি-এক কালো অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখন অনেকেই অনেক কথা বলছেন। বিএনপির লোকেরা তো আরও বেশি সোচ্চার- যারা ক্যাসিনো বা জুয়া খেলে বড়লোক হয়ে গিয়েছিলেন। ’
আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপির নেতারা আজ চিল্লাচিল্লি করেন। ওনারাতো এতিমের টাকা যারা করেন চুরি তাদের বাদ দেওয়ার মতো শক্তি রাখেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের যারা দুর্নীতি করে তাদের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনা অ্যাকশন নিতে পারেন। ওনাদের (বিএনপি) দলের আরেকজন যিনি দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। ওনারা এখন বড় বড় কথা বলছেন।’
বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আপনারা শিখিয়েন না। আপানাদের দলের নেতা থেকে শুরু করে অনেকেই মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছে। আমরা বিচার করছি বলেই আপনাদের এতো চিল্লাচিল্লি। আমি শুধু এটুকুই বলব, বাংলাদেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে শেখ হাসিনাই পারবেন এবং তিনিই করবেন।’
মন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে কালো আইন আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এই কলঙ্কিত অধ্যায় সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আর এ জন্য আমার প্রস্তাব হলো- প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক জোট কালো দিবস পালন করবে। ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হবে; কারণ এই দিনেই অর্ডিন্যান্স জারি হয়েছিল। আর ১২ নভেম্বর শেষ হবে; কারণ ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সংসদে এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। আর এই সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের মাধ্যমে যদি ইনডেমনিটি বিষয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালন করা হয় তবে তা বাংলাদেশের জনগণ জানতে পারবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে- এ রকম কালাকানুন করে যতই নাট-বল্টু লাগিয়ে শক্ত করা হোক না কেন, তা কোনো দিনই টিকে না। বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন, জনগণের ভাষা দাবিয়ে রাখা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন মানেন বলেই আইনের মাধ্যমেই এই ইনডেমনিটি বাতিল করেছেন। এছাড়া এটি যে একটা কালো আইন সেটা তিনি আদালতের মাধ্যমেই প্রমাণ করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই জাতীয় চার নেতা হত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই দেশে সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ও অভিনেতা ড. এনামুল হক, আজিজুল হাকিম, কেরামত মওলা, নাট্যকার মান্নান হীরা, চিত্রনায়ক রিয়াজ প্রমুখ।