১১৯ বছর পর গর্ভপাতের অধিকার পেল অস্ট্রেলিয়ার নারীরা
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৩২
গর্ভপাত করানো এখন আর অস্ট্রেলিয়ায় কোনো অপরাধ নয়। ১১৯ বছরের পুরাতন একটি আইন সংশোধনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার নারীদের গর্ভপাতের অধিকার নতুন করে সংরক্ষিত করল দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউ সাউথ ওয়েলসের আইনপ্রণেতারা ভোটের মাধ্যমে ২২ সপ্তাহের কম পর্যন্ত গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত করানোর অধিকার সংরক্ষণ করেছেন।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়ায় গর্ভপাত করানো অপরাধ হিসেবে বিবেচিত ছিল। এর সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল দশ বছরের কারাদণ্ড। তবে বৈধভাবে গর্ভপাত করানোর জন্য কোনো নারীকে চিকিৎসকের অনুমোদন প্রয়োজন হতো।
এখন, নতুন আইন অনুসারে ২২ সপ্তাহের গর্ভাবস্থার মধ্যে কোনো অস্ট্রেলীয় নারী যদি নিজেকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অপ্রস্তুত মনে করেন তাহলে গর্ভপাত করাতে পারবেন। কিন্তু গর্ভাবস্থা যদি ২২ সপ্তাহ অতিক্রম করে তাহলে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। নিউ সাউথ ওয়েলসের এই সংশোধনীর পর শুধুমাত্র দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বাদে সবগুলো রাজ্যেই নারীদের গর্ভপাতের অধিকার নিশ্চিত হলো।
নিউ সাউথ ওয়েলসে এই আইন পাস হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ধর্মীয় আন্দোলনকারী, গর্ভপাত বিরোধী কর্মী ও সংসদ সদস্যরা বলছেন, এখন সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে অনেকেই গর্ভপাত করবেন।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট এই নতুন আইনের সমালোচনা করে বলেন, এই আইন মানবতাবিরোধী, মানবতার পরাজয়। নিউ সাউথ ওয়েলসের ইতিহাসে এই আইন ই সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক।
অপরদিকে, লেবার পার্টির এমপি জো হ্যালেন বলেছেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের নারীবাদীদের জন্য আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১১৯ বছর পর নারীরা আজ গর্ভপাতের জন্য জেল জুলুমের ভয় থেকে মুক্ত হলো।
অস্ট্রেলিয়ার পার্শ্ববর্তী নিউজিল্যান্ডেও গর্ভপাতের বৈধতা সংক্রান্ত বিলটি সংসদে ওঠার পর সদস্যদের ভোটাভুটির অপেক্ষায় আছে।