চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের মানববন্ধনে পুলিশের বাধা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:১৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের বাধায় মানববন্ধন করতে পারেনি নগর স্বেচ্ছাসেবক দল। বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংগঠনটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল। পরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে তারা সমাবেশ করে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে নুর আহমদ সড়কে মানববন্ধনের জন্য জড়ো হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের শ’খানেক নেতাকর্মী।
সংগঠনটির নেতারা জানান, জমায়েতের পর সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে শুরু করলে পুলিশ এসে তাদের সেখান থেকে সরে যাবার অনুরোধ করে। মানববন্ধন করার অনুমতি পুলিশের পক্ষ থেকে বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এসময় সেখানে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা উপস্থিত হন। পুলিশ এসে তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলেন। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান আবুল হাশেম বক্কর।
একপর্যায়ে পুলিশ চড়াও হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি নেতারা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে চলে যান। সেখানে মানববন্ধনে বাধার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। সরকার বাংলাদেশকে ক্যাসিনোর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সেজন্য আমাদের সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন করার মতো গণতান্ত্রিক অধিকার সরকার কেড়ে নিচ্ছে। তাদের অপকর্মের যাতে কোনো প্রতিবাদ না হয়, সেজন্য সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।’
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার নাম শুনলে সরকার আঁতকে ওঠে। এর প্রমাণ হচ্ছে মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও পুলিশের বাধা। কিন্তু বাধা দিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন দাবিয়ে রাখা যাবে না।’
নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘একদিকে চলছে সরকারের দুঃশাসন, অন্যদিকে লুটপাট। জনগণ অসহায় অবস্থায় আছে। এর থেকে মুক্তি দিতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহ সভাপতি এম এ আজিজ, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন।
মানববন্ধনে বাধার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনুমতি নিয়েছিল দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে সমাবেশ করার। সড়কে মানববন্ধনের কোনো অনুমতি তাদের ছিল না, সেজন্য তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’