Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জলবায়ু অবরোধে যোগ দিয়েছেন লাখ লাখ কানাডীয়


২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:১৫

কানাডার জলবায়ু অবরোধে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছেন। কানাডাজুড়ে একশরও বেশি স্থানে অবরোধকে সামনে রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। খবর বিবিসির। গ্রেটা থানবার্গের হাত ধরে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হতে থাকা এই জলবায়ু অবরোধ আন্দোলনে পৃথিবীর বিভিন্নপ্রান্তে মানুষ রাস্তায় নামছে। তারই অংশ হিসেবে ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ শ্লোগানে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আন্দোলনকারীরা কানাডায় জড়ো হন।

এর আগে, দিনের শুরুতে জলবায়ু আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ১৬ বছর বয়সী গ্রেটা থানবার্গ কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় শহর মন্ট্রিয়েলে সমাবেত আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। গ্রেটা গণমাধ্যমের কাছে বলেন, আজ খুবই ভালো একটা দিন। সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে। সবাই নিজের ইচ্ছায় এই অবরোধে যোগ দিয়েছেন। আমার জন্যে আজকের দিনটি খুবই আনন্দের। ওই সময় মন্ট্রিয়েলের মেয়রের কাছ থেকে শহরটির চাবি গ্রহণ করেন গ্রেটা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু মন্ট্রিয়েলেই পাঁচ লাখ কানাডীয় এই অবরোধে যোগ দিয়েছেন। যদিও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, অবরোধকারীর সংখ্যা তিন লাখ ১৫ হাজার।

এতো আন্দোলনকারী একসাথে অংশ নিয়ে কানাডার এই জলবায়ু অবরোধ সারা পৃথিবীতে ইতিহাস সৃষ্টি করলো। ২০১৪ সালে নিউইয়র্কের জলবায়ু মার্চে ৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল।

কানাডার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ওইদিন কার্যত বন্ধ ছিল। সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলোতেও ছিল ছুটির আমেজ। এই অবরোধের কারনে গণপরিবহন ছিল চাপমুক্ত। অবরোধ ছিল শান্তিপূর্ণ। যদিও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে লক্ষ্য করে ছুটে যাওয়ার সময় পুলিশ একজনকে আটক করে।

লিয়া ইলার্দো নামে ২১ বছর বয়সী একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বিবিসিকে জানান, সারা পৃথিবীকে প্রশ্নের মুখে রেখে আমাদের পড়াশোনা বা কাজ করে কি লাভ?

সু আলোয়ার্ড নামে ৭০ বছর বয়সী এক নারী বিবিসিকে বলেন, যখন সম্পূর্ণ সিস্টেমই বদলে ফেলা দরকার। তখন আমরা রাজনীতিবিদদের কিভাবে এই আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করছি?

এদিকে, এই অবরোধ এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন কানাডায় কেন্দ্রীয় নির্বাচনের প্রচারনা চলছে। লিবারেলদের নেতা জাস্টিন ট্রুডো, গ্রিন পার্টির নেতা এলিজাবেথ মে, ব্লক কুইবেকদের নেতা ইয়োভেস ফ্রান্সিওস ব্লাঞ্চেট এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। শুধুমাত্র কনজারভেটিভ নেতা অ্যান্ড্রু শিয়ারকে আন্দোলনের কোথাও দেখা যায়নি। তিনি আন্দোলনে অংশ না নিলেও বলেছেন, তার পার্টি এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের পাশে আছে।

কানাডার এই জলবায়ু অবরোধ আন্দোলন থেকে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার, পরিবহন এবং এই খাতে সরকারি ভর্তুকি বন্ধের দাবি উঠেছে। যা বাস্তবায়ন করতে কানাডার ট্রান্স মাউন্টেইন পাইপলাইন প্রজেক্ট বন্ধ করে দিতে হবে। যদিও লিবারেল এবং কনজারভেটিভ দুই দলেরই এই প্রজেক্টে সম্মতি রয়েছে। এছাড়াও গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলার দাবি উঠেছে। যেখানে কানাডার রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা আছে ওই সময়ের মধ্যে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার।

এই অবরোধ আন্দোলনের আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মার্চই আমাদের শেষ কর্মসূচি নয়, কর্মসূচির শুরু মাত্র।

কানাডা গ্রেটা থানবার্গ জলবায়ু অবরোধ জলবায়ু পরিবর্তন জাস্টিন ট্রুডো ফ্রাইডে ফর ফিউচার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর