‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি’
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:৫১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বেসরকারি খাতকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি কিনা সেটা ভাবা প্রয়োজন।
রোববার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউেবল অ্যানার্জি অ্যাসোসিয়েশন এবং ফোরাম ফর অ্যানার্জি রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারের বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার বিষয়ে উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা পশ্চিমা চিন্তাধারার মত জীবনযাপন করতে চাই। এটা ঠিক না। সকল জায়গায় আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের নিজেদের মডেল তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিদ্যুতের সরবরাহ দিকটি নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিয়ে কোন কাজ করছি না। এখন সময় হয়েছে বিদ্যুতের সাশ্রয়ের দিকটি নিয়ে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে আমরা যেতে চাই। সেজন্য আমাদের এখনই ভাবতে হবে পৃথিবীতে আমরা কীভাবে বাঁচব?
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশই এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয় করছে। কিন্তু আমরা নিম্ন আয়ের দেশগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় না করে বিদ্যুৎ অপচয় করছি। এসময় তিনি সুইডেনের উদাহরণ টেনে বলেন, সুইডেনে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারছে না। কারণ সেখানকার ব্যবহারকারীরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কারণে তাদের বিদ্যুৎ কম লাগছে। কিন্তু আমরা এর বিপরীত। যে কারণে দেশের প্রধানকে বলতে হয় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা, সময়মতো সুইচ বন্ধ করুন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিল্ডিং কোড একটা প্রয়োজনীয় পার্ট। বিল্ডিং কোডের মধ্যে সাশ্রয়ে বিষয়টা রাখা এবং সঠিক তদারকি করতে হবে। এছাড়া আমাদের পাঠ্যপুস্তকে একজন সুস্থ নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কোম্পানিগুলোতে পরিবর্তন প্রয়োজন উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘সরবরাহের দিকে আমাদের যে লস হচ্ছে সেটা কমাতে হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা চালাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে গিয়ে আমাদের জমি . টেকনোলজি ও ফাইন্যান্স নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। জায়গার সংকট রয়েছে। ফলে আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা বড় অংশ দখল করে নেবে। সে জন্য আমাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্রেডা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, পিডিবির চেয়ারম্যান ইঞ্চিনিয়ার খালেদ মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মিজান আর খান।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পোস্টার হস্তান্তর করে বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউেবল অ্যানার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপাল সি. বড়ুয়া।
সারাবাংলা/এইচএ/একে