অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:০৩
ঢাকা: গ্যাস এবং বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ চিহ্নিত করতে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করারও পরামর্শ তাদের।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৭ম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। এছাড়া গ্যাসের সিস্টেম লসের পরিমান সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার পাশাপাশি সিস্টেম লসের স্ট্যান্ডার্ন্ড নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্যও মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার সভাপতিত্ব করেন। সভায় কমিটির সদস্য ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আলী আজগার, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম এবং বেগম নার্গিস রহমান অংশ নেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, বৈঠকে পেট্রোবাংলার গ্যাস বিপণন কোম্পানিসমূহের বিদ্যমান সিস্টেম লস কমাতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা হয় এবং সিস্টেম লস সামগ্রিকভাবে না দেখিয়ে আলাদা আলাদাভাবে দেখানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া অগভীর ও গভীর সমুদ্রসহ দেশে তেল, গ্যাস, কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং এসব সম্পদ সম্পর্কে যথাযথ সমীক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে যাতে এগুলো জনকল্যাণে কাজে লাগানো যায় সেজন্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
বৈঠকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় কমিটি দেশের সব স্থানে সমপরিমান গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অপশোর গ্যাস আহরণে আরও বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। বৈঠকে সারাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
দেশের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সংসদীয় কমিটির সদস্যদের গ্যাস ও বিদ্যুতের স্থাপনাসমূহ পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকের শুরুতেই ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ এবং ৯৬ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয় এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার বিবরণ উপস্থাপন করা হয়।