কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যেকার খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিভাগ দু’টির শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে দুই শিক্ষকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যে প্রথম সেমিফাইনাল খেলা চলছিল। খেলায় একটি ফাউল করাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় বাংলা বিভাগের রিয়াদ, আবব্দুর রহমান, সাকিবসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে মার্কেটিং বিভাগের এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আয়োজক কমিটি প্রায় ২০ মিনিট খেলা বন্ধ রাখে।
পরে খেলা শেষ হলে আগের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় খেলা দেখতে আসা দর্শকসহ কুবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থামাতে গেলে তারাও মারধরের শিকার হন। এতে শাখা ছাত্রলীগের ইমাম হোসেন মাসুম, জুনায়েদ আহমেদসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করলে তারা বাংলা বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয়কে বেধড়ক মারধর করেন।
মারধরের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক নূর মোহাম্মদ রাজু, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজীম হোসেন সোহাগ, বাংলা ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয়সহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
পরে বিজয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বলেন, ‘মারামারির সময় আমি থামাতে গেলে কেউ একজন ধাক্কা দেন এবং আরেকজন আমার পেটে ছুরিজাতীয় কিছু দিয়ে আহত করেন। এতে আমার পেটের কিছু অংশ কেটে যায়। তখন উত্তেজিত অবস্থায় হয়তো কাউকে ধাক্কা দিয়েছিলাম।’
আরেক ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ বলেন, ‘আমি ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাকে মারধর করেছেন। পরে মারধর থামাতে অনেককেই সরাতে হয়েছে।’ আহত বিজয়কে মারধরের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’