বঙ্গোপসাগরে দুই ট্রলারের সংঘর্ষ: নিখোঁজ ৩, আহত ৪
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:২৯
বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় চট্টগ্রামের ‘এফবি সেমি পাওয়ার-৪’ নামের ট্রলিং ট্রলারের আঘাতে বাগেরহাটের শরণখোলার ‘এফবি আল- কারিম’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারের তিন জেলে সাগরে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চার জেলে আহত হয়েছেন। এতে জালসহ ট্রলারটির কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিকের।
আহতদের শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে এসে এফবি আল-কারিম ট্রলারের চালক মো. আলম মাঝি জানান, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে মাছ ধরছিলেন তারা। এসময় চট্টগ্রামের ‘এফবি সেমি পাওয়ার-৪’ নামের একটি ট্রলিং ট্রলার এসে তাদের ট্রলারে আঘাত করে। এ আঘাতে পাঁচ জেলে সাগরে পড়ে যায়। দুই জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও তিন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, জাফর (৩৫) খোকন (২৮) ও মনির (২৫)। নিখোঁজ জাফরের বাড়ি বরগুনা জেলার তালতলীতে, খোকনের বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার গাবতলা ও মনিরের বাড়ি রাজাপুর গ্রামে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সুমন মোল্লা (২৮), আলামিন (৩২), ইসমাইল (২৫) ও সোলায়মান (৩০)। এদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারটির মালিক এম সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, ট্রলিং ট্রলারের আঘাতে তার ট্রলারের ২৫টি জালসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, ‘ট্রলার মালিক প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন সময় ট্রলিং ট্রলারগুলো আমাদের মাছ ধরার ট্রলারের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেক সময় ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে।