একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ, একজনের মৃত্যু
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে এক বাসায় একই পরিবারের ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আহতরা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দার পুকুর পাড় এলাকায় বাদশা চেয়ারম্যান ঘাটার মুহিত সওদাগর ভবনের চতুর্থ তলায় এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবারত নজরুল ইসলামের (৪৫)। এছাড়া দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন- নজরুলের মা মনোয়ারা বেগম (৬৫), স্ত্রী জুবাইদা আক্তার কলি (৩০) ও ছেলে এজাজ (৩) এবং বোন সেলিনা আক্তার কলি (৩০) ও তার ছেলে আজবির হোসেন (১৩)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার নারায়ণ ধর সারাবাংলাকে বলেন, ‘নজরুল ইসলামের শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মনোয়ারা বেগমের শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। সেলিনা কলির শরীরের ১৫ ভাগ, জুবাইদা কলির ১৭ ভাগ পুড়ে গেছে। দুই শিশু এজাজের ২৫ ভাগ এবং আজবিরের ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে। সবার শ্বাসনালী কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু আজবিরের শ্বাসনালী কিছুটা অক্ষত আছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকার বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।’
নারায়ণ ধর বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা তাদের কাছে দগ্ধ হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছেন, গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে আগুন লেগে দগ্ধ হয়েছেন।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকালে ৬ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দগ্ধ হওয়ার কারণ আমরা জানতে পারিনি।’
দগ্ধ জুবাইদার বড় বোনের স্বামী আব্দুল আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি ইপিজেডে কারখানায় চাকরি করি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার স্ত্রী ফোন করে আমাকে জানায়, তার বোনের বাসায় সবাই আগুনে দগ্ধ হয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি অফিস থেকে হাসপাতালে আসি। ততক্ষণে নজরুল মারা গেছেন। বাকিদের আমরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। সম্ভবত রান্নার গ্যাসের কোনো সমস্যা থেকে তারা দগ্ধ হয়েছেন।’