Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভিসির ‘জয় হিন্দ’ প্রাসঙ্গিক, সাফাই রাবি কর্তৃপক্ষের


৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:০৩

রাবি: সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বক্তব্যের শেষে যে ‘জয় হিন্দ’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন তা ‘অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক’ বলে উপাচার্যের পক্ষে সাফাই বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সাফাই বিবৃতি দেওয়া হয়।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাবি তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন: ফ্রম দ্য পারস্পেকটিভ অব পিপলস হিস্ট্রি’ শীর্ষক তিন দিনের এক সম্মেলন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের পর ‘জয় হিন্দ’ বলেন রাবি উপাচার্য আবদুস সোবহান।

আরও পড়ুন- ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান: রাবি ভিসিকে ক্ষমা চাইতে আল্টিমেটাম

এরপর ‘জয় হিন্দ’ শব্দটি প্রত্যাহার ও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাল দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে ওই বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন এক কোটি শরণার্থীর খাদ্য-বাসস্থানের জোগান; মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহযোগিতা; বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন; সর্বোপরি বিশ্বজনমত সৃষ্টির মাধ্যমে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত করতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকারসহ সে দেশের জনগণের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। তাদের এই সহযোগিতার জন্য ভারত রাষ্ট্রের দীর্ঘায়ু কামনা করতে গিয়ে উপাচার্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবেই ‘জয় হিন্দ’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন এবং তা তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের পর বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান স্থিতিশীল অবস্থা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি রোধে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ধরনের বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।

ভবিষ্যতে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ঘটনা প্রবাহ ও তার পরিপ্রেক্ষিত, প্রাসঙ্গিকতা ও প্রকৃতি বিচারের পরামর্শ দেওয়া হয় বিবৃতিতে। এছাড়া বিষয়গুলো বস্তুনিষ্ঠ ও স্বচ্ছ সংবাদ পরিবেশনের অনুষঙ্গ বলেও দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ওই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ। সম্মেলনে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ইতিহাসবিদসহ রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাটিও উপস্থিত ছিলেন।

‘জয় হিন্দ’ বিবৃতি রাবি উপাচার্য সাফাই

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর