চুরি-ছিনতাইয়ের মোবাইল কিনে ধরা ২ দোকানিসহ চারজন
১ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চুরি-ছিনতাই করা মোবাইল কেনার অপরাধে দুই মোবাইল দোকানিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৬০টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো চোর-ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে তারা কিনেছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতভর নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে মোবাইল সেটগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেফতার ৪ জন হলো— নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের সিডিএ হকার মার্কেটের আলিফ ইলেকট্রনিক্সের দোস্ত মোহাম্মদ মানিক (৫৪) ও একই বাজারের ইসলাম মার্কেটের এন কে মোবাইল নামে একটি দোকানের মালিক খলিলুর রহমান (৩১) এবং একই বাজারের মক্কা টাওয়ারের মাদার টাচ নামে একটি দোকানের কর্মচারী সাহেদুল ইসলাম (২৪) ও চুরি-ছিনতাই করা মোবাইল সরবরাহকারী সোহেল রানা (৩০)।
ওসি মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘রোববার আমরা যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ছিনতাইকারী দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শতাধিক মোবাইল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। সেই মোবাইলগুলো রিয়াজউদ্দিন বাজারের কয়েকটি দোকানে বিক্রি করার কথা জানায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তিনটি দোকানে অভিযান চালাই এবং ১৬০টি মোবাইল সেট উদ্ধার করি।’
ওসি জানান, দোস্ত মোহাম্মদের দোকান থেকে ৭৩টি, খলিলুর রহমানের দোকান থেকে ৬৫টি, সাহেদুল ইসলামের দোকান থেকে ২২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। সাহেদুল ইসলামের দোকানের মালিক খোরশেদ আলম (৩৫) পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। উদ্ধার করা মোবাইলগুলো আমদানি বা কেনার কোনো বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সেগুলো চুরি-ছিনতাই করা মোবাইল তারা কিনে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে জানান, একসময় চুরি-ছিনতাই করা মোবাইল কিনে বিক্রির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সন্ত্রাসী জাহিদুল ইসলাম আলো। দুইবছর আগে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আলো মারা যায়। এরপর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ আসে মানিক, খলিলুর ও পলাতক খোরশেদের হাতে। মানিক ও খোরশেদ আপন মামা-ভাগিনা। অপরাধ জগতে এই চক্রের নাম ‘মামা-ভাগিনা’ সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতার সোহেল চোর-ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল কিনে রিয়াজউদ্দিন বাজারে সরবরাহ করে।