‘শেখ হাসিনার ভারত সফরে উপমহাদেশে অশান্তির আগুন যেন না জ্বলে’
২ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:১৮
ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে এশিয়া উপমহাদেশে অশান্তির আগুন যেন না জ্বলে, সে ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে সতর্ক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্চিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতে যাচ্ছেন। এর আগে ভারত থেকে এসে তিনি বলেছেন, আমি ভারতকে এত দিয়েছি যে, তারা ঋণ শোধ করতে পারবে না। আজ আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী এমন কোনো কথা, এমন কোনো কাজ আপনি করে আসবেন না, যাতে জাতীয় স্বার্থ ব্যহত হয়।’
‘এমন কিছু করবেন না, যাতে এই এশিয়া উপমহাদেশে আবার অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে। আমরা এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করতে চাই। আপনি যাচ্ছেন ভালো কথা; বাংলাদেশ ও জনগণের স্বার্থ হানি হয়, জনগণের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়- এমন কোনো প্রস্তাবে আপনি রাজি হবেন না— বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ।
তিনি বলেন, ‘এই দেশের মানুষ কিন্তু সব কিছু দেখছে। এতদিন যা করেছেন, লুকিয়ে রাখতে পারছেন না। এখন আপনার সদিচ্ছা হয়েছে, তাই কিছু প্রকাশ হচ্ছে। আর যেগুলো প্রকাশ হচ্ছে না, সেগুলোও প্রকাশ করতে হবে। জনগণ তার বিচার করবে।’
দেশের সব অনাচার গণতন্ত্রের অভাবে হচ্ছে অভিযোগ করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের অভাবে এই সকল অনাচার, অবিচার, অত্যাচার, নির্যাতন ও প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ হচ্ছে। যদি জনগণের সরকার থাকত, তাহলে এটা সম্ভব হতো না। তাই গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা আমাদের সর্বাগ্রে দায়িত্ব। কিন্তু গণতন্ত্রের মাতা মাদার অব ডেমোক্রেসি খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে গণতন্ত্র মুক্ত করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘সবার আগে এই দেশের সকল জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তিকে একত্রিত করে গণঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্চিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ-তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।