ফ্যানের বাতাস না পেয়ে মধুর ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে গেল ছাত্রদল
২ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৪৭
ঢাকা: বিগত কয়েকদিনের মতো আজও রাজনীতির আঁতুড়ঘর খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এসেছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু মধুর ক্যান্টিনে নেতাকর্মীরা বসার টেবিল পাননি। ছাত্রদলের জন্য নির্ধারিত টেবিলটির ফ্যান সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে যান। তবে ছাত্রদলের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৌশলে ফ্যান সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখায় তারা বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে যান। এর কিছুক্ষণ পরে ছাত্রদলের নতুন সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মধুর ক্যান্টিনে আসেন।
ইকবাল হোসেন শ্যামল জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকেই ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার প্রায় ৭০ জন নেতাকর্মী মধুর ক্যান্টিনে যান। এর কিছুক্ষণ পরেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী গেলে প্রায় দুইশ নেতাকর্মী মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হন। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৌশলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল।
শ্যামল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা যাওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে বসার কোনো জায়গা পাননি। পরে কোনোরকমে একটি টেবিল ব্যবস্থা করে এবং সর্বসাকুল্যে তিনটি চেয়ারের ব্যবস্থা করেন তারা। এছাড়া বিগত দিনগুলোতে তারা যে পাশের টেবিলগুলোতে বসতেন সেই টেবিলের ওপরের সিলিং ফ্যানের বিদ্যুৎ সংযোগও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেন শ্যামল।
শ্যামল আরও বলেন, ‘আমরা দুইশত নেতাকর্মী বসার কোনো জায়গা পাইনি। এ ছাড়া ফ্যানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় গরমের কারণে কিছুক্ষণ থেকে তারপর ক্যান্টিন থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছি আমরা।’ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৌশল অবলম্বন করে হেনস্তা করেছে বলে অভিযোগ শ্যামলের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন জানান, তিনি অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। তাই এসব বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভোটের মাধ্যমে ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে মধুর ক্যান্টিনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা নিয়মিত আসছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় ছাত্রদলের ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে অভিযোগ করেছিল সংগঠনটি।