ঝুঁকি বাড়ছে নিম্নাঞ্চলে, কুষ্টিয়ায় বিপৎসীমার উপরে পদ্মার পানি
২ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:১৩
কুষ্টিয়া: ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়ায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে পদ্মার পানি। সেই প্রভাবে ইতোমধ্যে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপরে। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার এবং তারও আগে ১৯৯৮ সালে পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার।
পদ্মায় পানি ঢুকে পড়ায় কুমারখালী ও দৌলতপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে ঝুঁকি। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি।
কুমারখালী উপজেলার কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধের কালোয়া অংশের প্রায় ৩০ মিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি এবং কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পদ্মার পানির সঙ্গে বাড়ছে স্থানীয়দের আতঙ্ক।
অন্যদিকে দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামে ঢুকে পড়েছে পদ্মার পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুন্ডু সারাবাংলাকে বলেন, রিজার্ভ ব্লক থেকে ডাম্পিং কাজ অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে ভাঙন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধের যে ৩০ মিটার অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানেও ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। যদি অন্য কোনো এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়, সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান, আমরা নিয়মিত প্লাবিত এলাকায় পর্যবেক্ষণ করছি। যারা পানিবন্দি রয়েছেন তাদের মধ্যে শুকনা খাবার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তত রয়েছে।
কুষ্টিয়া পদ্মা নদী ফারাক্কার স্লুইসগেট বন্যা বিপৎসীমার উপরে পদ্মার পানি ভারত