১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকার ৩ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন
২ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৪১
ঢাকা: চট্টগ্রামের বারৈয়ার হাটে ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ওই প্রকল্প স্থাপনে দরপত্র চূড়ান্ত করে চুক্তিবদ্ধের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রকল্পের সম্ভাব্য খরচ ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বুধবার (২ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। একই বৈঠকে কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২৭৮ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্রয় প্রস্তাব এবং ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় ‘এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের সেবার জন্য পরামর্শক নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি ১৯৯৬-এর আওতায় বিল্ড ওউন অ্যান্ড অপারেট (বিওও)-ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার বারৈয়ার হাট এলাকায় ১৩২/৩৩ কেভি সাব-স্টেশনের কাছাকাছি স্থানে ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেখানে দু’টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলে তাদের মধ্য থেকে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচন করে কনসোর্টিয়াম অব আইবি ভোগট জিএমবিএইচ অ্যান্ড এজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে চুক্তির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে স্পন্সরের সঙ্গে চুক্তি করতে সিসিজিপির অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হয়। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে ওই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা ৮ টাকা ৭৫ পয়সা হিসাবে সম্ভাব্য ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প
কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মহেশখালী চ্যানেলে পাড় ও বাঁকখালী নদীর তীরে স্লোপ প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য কাজের ভেরিয়েশনজনিত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে আজকের বৈঠকে। এতে মোট খরচ হবে ২৭৮ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত ভূমিহীন পরিবারকে খুরুশকুল মৌজায় পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকারভুক্ত ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের মহেশখালী চ্যানেল পাড়ে ও বাঁকখালী নদীর তীরে স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজ ডিপিএম পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় নৌবাহিনীকে। নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড নারায়াণগঞ্জের অনুকূলে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরের সিসিজিপি অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাঁধের প্রশস্ততা বৃদ্ধি, তদানুযায়ী রেগুলেটর নির্মাণ, তিনটি ব্রিজ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ঘাটলা নির্মাণ, স্লোপ প্রতিরক্ষাসহ বাধ সম্প্রসারণ কাজের ভেরিয়েশন বাবদ ৮৬ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয় বেড়েছে এ প্রকল্পে।
এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া তৃতীয় ক্রয় প্রস্তাবটি ছিল ‘এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের সেবার জন্য পরামর্শক নিয়োগ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
পিইসি’র প্রস্তুত করা সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। চূড়ান্ত মূল্যায়নে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে আইএমসি ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এ প্রকল্পে।
আশ্রয়ণ-২ এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস ক্রয় প্রস্তাব ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চট্টগ্রামের বারৈয়ার হাট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প