Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভূমি দস্যুদের বাধায় চাষাবাদ করতে পারেননি ১১ কৃষক পরিবার


৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:১২

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): ভূমি দস্যুদের বাধায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় গোলবুনিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন জলিলসহ ১১টি কৃষক পরিবার তাদের ছয় একর জমি চাষ করতে পারেননি। থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করে প্রতিকার না পেয়ে চরম হতাশায় রয়েছে কৃষক পরিবারগুলো।

একই এলাকার প্রতিপক্ষ ভূমি দস্যু নুর হোসেন ফরাজী, জামাল ফরাজী, সৈয়দ ফরাজী পেশি শক্তির বলে ওই কৃষক পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি মৌজার এসএ ১৫৯৯,১৯৩৯ নং খতিয়ানের হাল ৮৩, ৮৪, ৬৩২, ৬৪০, ৬৪২, ৬৪৬, ৬৫১, ৬৫২, ৬৫৩, ৬৫৪, ৬৫৬, ৬৫৯, ৬৬০ নং দাগের ১৩ দশমিক ৩৪ একর আবাদি জমি ৫৪ ধারার বিধান মতে নিলাম খরিদ সূত্রে পার্শ্ববর্তী ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের মৃত্যু রহিম সওদাগারের ছেলে হায়দার আলী ১৯৫৩ সালে আদালতের আদেশে দখল বুঝে নেন।

নিলাম খরিদ্দার হায়দার আলী বরিশাল রেভিনিউ কালেক্টর অফিসের এস, এ, অ্যান্ড টি অ্যাক্ট ৫৪ ধারার বিধানমতে ১৯৫৯ সালের ২৫ মে নিজ নামে রেকর্ড সংশোধন করেন।

হায়দার আলী সওদাগরের ওয়ারিশ ও বিভিন্ন দলিল মূলে ক্রয় করে মহিউদ্দিন জলিল, মজিবর, মতিয়ার, আব্দুল মালেক, সাইদুর রহমান, আলী হোসেন, খলিল, শাহ আলম, সায়েদ, আবুল বাসার, আব্দুল খালেক৭ একর বাগান বাড়ি ও ৬ একর আবাদী জমি ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছিলেন।

কিন্তু প্রতিপক্ষ ভূমি দস্যুরা ওই জমিতে গোলমাল সৃষ্টি করলে জমির মালিকরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেন। উভয়পক্ষের সালিশ বৈঠকে ওই জমি মহিউদ্দিন জলিলদের পক্ষে রোয়েদাদ হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিপক্ষরা ওই রোয়েদাদের সিদ্বান্ত উপেক্ষা করে জমি আবাদ করতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এতে মহিউদ্দিন জলিল গত ৬ আগস্ট পিরোজপুর পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান অভিযোগ পত্রটি মঠবাড়িয়া থানা ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে—মঠবাড়িয়া থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১১টি কৃষক পরিবার চাষাবাদ করতে না পেরে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মহিউদ্দিন জলিল জানান, থানার ওসির কাছে অভিযোগ দিয়েও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি।

প্রতিপক্ষ নুর হোসেন ফরাজি বলেন, ‘১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেছি। সে কারণে জমি চাষাবাদে বাধা দিয়েছি।’ তবে তিনি আদালতের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ নূর হোসেনরা সঠিক কাগজপত্র নিয়ে না আসায় বিষয়টির নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।’

চাষাবাদ ভূমি দস্যু মঠবাড়ীয়া

বিজ্ঞাপন

কলকাতায় অভিষেক হচ্ছে অপূর্ব’র
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৮

তানজিব-অবন্তীর নতুন গান
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২২

আরো

সম্পর্কিত খবর