এনআরসি নিয়ে চিন্তিত নই: শেখ হাসিনা
৪ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৪৭
ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনসের (এনআরসি) বিষয়ে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন ভারত সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী আয়োজিত স্বাগত অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদি এনআরসি বিষয়ে তাকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট কি না? উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবশ্যই। আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না। আমার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। সব ঠিক আছে’।
ওই স্বাগত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা দিল্লি ভিত্তিক ৭৮ টি দেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেন। এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাদের সবাইকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বাইরে এক ব্যক্তিগত বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, আসামের এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্ বলেছেন, নাগরিক নয় এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদেরকে ভারত থেকে বের করে দেওয়া হবে।
এদিকে, শেখ হাসিনা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে দিল্লি গেছেন। শনিবার (৫ অক্টোবর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার এক দ্বি পক্ষীয় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
ওই বৈঠকে কি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওপর।
তিনি যা নিয়ে কথা বলতে চান তাই নিয়েই আলোচনা হবে। আমরা নিউইয়র্কে তাকে যা বলেছিলাম সেই ব্যাপারে অনড় থাকবো।
এছাড়াও বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের ১৬ কোটি মানুষ এই উপ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ৩০ কোটি মানুষের একটি যৌথ বাজার হয়েছে। এটা আমাদেরর ভুলে গেলে চলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বে ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে। আমাদের মুক্তমনা সমাজ, ধর্মীয় ঐক্য, নিরপেক্ষ মূল্যবোধ, ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতি এবং আমাদের তরুণ প্রজন্ম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির সিইওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:
‘বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো পরিবেশ বাংলাদেশে’
নয়া দিল্লি বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা