রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করছে সেনাবাহিনী
৪ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৪৭
কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা সদস্যদের হাতে এক রোহিঙ্গা কিশোরীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ তদন্ত করছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়ছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষী সেনা সদস্যদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে এতে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা সদস্যদের হাতে এক রোহিঙ্গা কিশোরীর ধর্ষণের অভিযোগ সেনা সদর দফতর অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধী ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ডয়েচে ভেলে বাংলার খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের তিন সদস্য ওই কিশোরীকে তার ঘরের ভেতরে ধর্ষণ করেন বলে দাবি করেছেন ওই কিশোরীর ভাই।
তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের পর তার বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিললেও রিপোর্টগুলো তাদের দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা জানিয়েছিলেন, তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত। তবে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার বিবিসিকে বলেছিলেন, এ ধরনের তথ্য সত্য নয়। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশও বিবিসিকে জানান, এ অভিযোগের কথা লোকমুখে শুনলেও কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি।
অন্যদিকে, কক্সবাজারের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর সদর হাসপাতালে ‘ধর্ষণের শিকার’ একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুই দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে।
আইএসপিআর ধর্ষণ ধর্ষণের অভিযোগ ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণ সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ