হংকংয়ে সহিংসতার জের ধরে মেট্রোরেল সার্ভিস বন্ধ
৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২৪
হংকংয়ের সরকারি কর্তৃপক্ষ মুখোশ নিষিদ্ধ করার পর এক অনির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক হাজার আন্দোলনকারী ম্যাস ট্রানজিট রেলওয়ে (এমটিআর) বা মেট্রোরেল স্টেশনগুলোকে কেন্দ্র করে জড়ো হতে থাকলে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মেট্রোরেল সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবরে জানিয়েছে বিবিসি।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে মুখোশ নিষিদ্ধ
মেট্রোরেলের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, স্টেশনগুলোতে ভাঙচুর এবং মেট্রোরেলের কর্মীদের ওপর আক্রমণহ চালানোর কারনে মেট্রোরেল সেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা এই স্থগিতাদেশ থাকবে।
এর আগে, কয়েক মাস ধরে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের এক জরুরি আইন জরি করে। পুলিশ এক ১৪ বছর বয়সী আন্দলনকারীর পায়ে গুলি করলে আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিবিসির রিপোর্টে জানানো হয়েছে গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারী সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তুয়েন মুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ক্যারি লাম বলেছেন, দিনকে দিন আন্দোলনের সহিংসতা যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে উপনিবেশিক ওই জরুরি আইন জারি না করে কর্তৃপক্ষের কোনো উপায় ছিল না।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে হংকংয়ের পুলিশ জানিয়েছে, এক দল আন্দোলনকারী ওই পুলিশ সদস্যের ওপর প্রানঘাতি আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে। জীবন রক্ষার্থে তিনি গুলি চালাতে বাধ্য হন।
এদিকে, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) আন্দলনকারীরা কাজ থেকে দ্রুত ফিরে স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে আন্দোলনে যোগ দেয়। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই তারা মুখোশ পড়ে আন্দোলনে অংশ নেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তার চীনের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়, মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। তার জবাবে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছোঁড়ে।
প্রসঙ্গত, বন্দি প্রত্যর্পণ বিল বাতিলকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া আন্দোলন ধীরে ধীরে হংকংয়ে পাঁচ দফার সরকার বিরোধি আন্দোলনে রূপ নেয়। বর্তমানে বিলটি বাতিল ঘোষণা করা হলেও হংকংয়ে আরও গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাহী নির্বাচন এবং প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশই বর্বরতার তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা এখনও রাস্তায় রয়েছেন।