ডিভিশনে যে সুবিধা পাবেন খালেদা জিয়া
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৪৬
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়া কারাগারে ডিভিশন (সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী প্রাপ্য সুবিধা) পাওয়ার পর কারাবিধি (জেল কোড) অনুযায়ী পাচ্ছেন বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা।
কারাবিধি অনুসরণ করেই দেওয়া হবে তার দিনের খাবার। জেল কোডের বিধি ১০৯৩ অনুসারে সকল বন্দিকে দিনে তিনবার খেতে দেওয়া হয়। সকালে দিনের কাজ শুরুর আগে নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং বিকেলে লকআপে নেওয়ার আগে রাতের খাবার।
খাবার তালিকা
এ ছাড়াও কারাবিধি ১০৯৫ অনুযায়ী ডিভিশন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের খাদ্য তালিকায় বিষয়ে বলা হয়েছে, সকালের খাবারের তালিকায় থাকবে রুটি বা পাউরুটি, চিনি, দুধ, জেলি, ডিম, ঘি বা মাখন, কলা এবং চা।
দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকবে ভাত অথবা রুটি, মাছ অথবা মাংস, শাক-সবজি ও ডাল।
রাতের খাবারে থাকবে ভাত অথবা রুটি, মাছ অথবা মাংস, শাক-সবজি ও ডাল। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসোন ভূঁইয়া বলেন, ডিভিশন প্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া বাসা থেকে আনা খাবারও খেতে পারবেন।
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
এ ছাড়াও ১০৫২ বলা আছে, প্রথম শ্রেণির ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দিদের বরাদ্দ করা সেলে তাদের সাধারণ সরঞ্জাম হিসেবে থাকবে- একটি চেয়ার, টেবিল, রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য একটি বাতি, খাবার খাওয়ার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, একটি আয়তকার খাট, একটি পাতলা তোষক, দুটি বালিশ, দুটি চাদর, চারটি বালিশের কভার, প্রয়োজন অনুযায়ী একটি বা দুটি কম্বল, একটি মশারি, একটি ছোট আয়না এবং চিরুনী।
যদি প্রয়োজন হয় এ ডিভিশনের প্রত্যেক বন্দিকে একটি টুথব্রাশ বরাদ্দ করতে পারে এবং তার অতিরিক্ত বন্দির সাধারণ অভ্যাস এবং কারাগারের আবাসন সুবিধার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিজ খরচে অন্যান্য আসবাবপত্র, বেডিং, তৈজসপত্র এবং চুলের তেল প্রভৃতি রাখার জন্য জেল সুপার অনুমতি প্রদান করতে পারেন।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার ডিভিশন চেয়ে তার আইনজীবীরা বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালতে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এই আদেশের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই