‘ক্যাসিনো নাটক সাজিয়ে হাজার ইস্যুকে আড়াল করা হচ্ছে’

ঢাকা: ক্যাসিনো নাটক সাজিয়ে অন্য হাজার ইস্যুকে আড়াল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ক্যাসিনো নাটক সাজিয়ে হাজার ইস্যুকে আড়াল করা হচ্ছে। এছাড়া যারা দুর্নীতি অনুসন্ধান করছেন, তারা কতটুকু দুর্নীতিমুক্ত— সেটাই দেখার বিষয়। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিকে লালন করেন, প্রশ্রয় দেন কিংবা যাকে দুর্নীতি দমন করতে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনি কতটুকু দায়িত্ব পালন করবেন? প্রকৃত অর্থে নাটক করে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা যায় না।  আমরা মনে করি, এই ভোটার বিহীন সরকার দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি সরাতে এসব নাটক করছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার হিসাব অনুযায়ী দেশে ৭৬ হাজার কোটিপতি রয়েছেন। পাঁচ বছর আগে ছিল ১৯ হাজার। আর যে পরিমাণে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, সেই হিসাব করলে দেশে কোটিপতির সংখ্যা কত হবে, তার ঠিক নেই। কোটিপতিদের তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যাবে, সবাই আওয়ামী লীগ করেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ কোটিপতি হয়নি। সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে, দায়িত্ববোধ থাকার কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আমরা করছি, ভবিষ্যতেও করব। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি লাভ করবেন।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে সফল হলেও শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা যার মুক্তির জন্য এখানে প্রতিবাদ সভা করছি, সেই নেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমাদের সঙ্গে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছিলেন। খালেদা জিয়াই তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে গোপালগঞ্জে হাসপাতাল করে দিয়েছিলেন। আর সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথায় কথায় কারণে-অকারণে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানকে খাটো করেন। আর এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, বিএনপির মধ্যে যে রাজনৈতিক শিষ্টাচারবোধ আছে, তা আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যতভাবে কষ্ট দেওয়া যায়, তা এ সরকার দিচ্ছে। জিয়াউর রহমানকে খাটো করার জন্য যত ধরনের নোংরামি করার, তাও এ সরকার করছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান তার জীবনে কখনো শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান করেননি। জিয়াউর রহমান তার অনেক বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতীয় নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে উল্লেখ করে আলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতে গিয়েছেন, তখন শুনেছি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মূল বিষয়বস্তু তিস্তার পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং আসামের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) তালিকা। কিন্তু এখন দেখছি পেঁয়াজ হয়ে গেছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়বস্তু। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজে একটি ফরমাল অনুষ্ঠানে পেঁয়াজ নিয়ে রসিকতা করছেন।

আলোচনা সভায় জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর শিকদার সভাপতিত্ব করেন।

ক্যাসিনো ক্যাসিনো নাটক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় টপ নিউজ বিএনপি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল