ভ্যাট সফটওয়্যার নির্মাতাদের তালিকাভুক্তি, সম্ভাবনা দেখছে বেসিস
৫ অক্টোবর ২০১৯ ২২:২৯
ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাট সফটওয়্যার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন করে সফটওয়্যার নির্মাতা বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করতে কাজ শুরু করেছে। এ প্রক্রিয়াকে দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পের জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে বলে মনে করছে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বেসিস কার্যালয়ে ভ্যাট সফটওয়্যার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুনভাবে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী নির্মাতা বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বেসিসের নেতারা ওই কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেছেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘বেসিসের পক্ষ থেকে আমরা নতুন ভ্যাট আইনকে স্বাগত জানিয়ে আসছি। এনবিআরে সফটওয়্যার নির্মাতা বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় স্থানীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানসগুলোর কাজের পরিসর বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটালাইজড করার প্রথম ধাপ হিসেবে এনবিআরের সব নিয়ম মেনে ১১টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট সফটওয়্যার সফলভাবে তৈরি করেছে। এসব সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত কাঁচামালের ভ্যাট হিসাবও সহজে করা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রস্তুতকৃত পণ্যের ভ্যাটসহ সঠিক দাম নির্ধারণ করা যাচ্ছে এবং বিক্রি করে উপযুক্ত লাভও পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশের প্রচলিত ভ্যাট আইন অনুসারে হিসেবে গড়মিলও থাকছে না।’
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ‘১১টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এনবিআরে আরও ভ্যাট সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে দেশীয় ভ্যাট সফটওয়্যারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় নিশ্চিতের কাজ চলছে। এ প্রক্রিয়া স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সার্বিকভাবে এই উদ্যোগ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’
এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)’র কমিশনার মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর বলেন, ‘এনবিআর প্রাথমিকভাবে ১১টি সফটওয়্যার কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেছে। ভ্যাট সফটওয়্যার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুনভাবে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী নির্মাতা বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কি ধরনের সফটওয়্যার থাকতে হবে এবং কি কি প্রাক যোগ্যতা থাকা দরকার, সে বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। আর এ লক্ষ্যেই এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরাও বেসিস সদস্যদের মতামত জানতে পেরেছি।’
কর্মশালায় বেসিস নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান। এতে দেড় শতাধিক বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।