ঢাকা মেডিকেলে কমেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা
৬ অক্টোবর ২০১৯ ১০:০২
ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমেছে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল ঘুরে এমটাই দেখা গেলে। বেডও অনেক খালি পড়ে আছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালের নতুন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, কমেছে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। নতুন করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও কমেছে। অনেক জায়গায় বিছানায়ও ফাঁকা দেখা যায়। ফাঁকা হয়ে গেছে লিফট ও চিকিৎসকদের দরজার সামনে।
কয়েকজন নার্স বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এত রোগী কখনই দেখিনি। এখন অনেক কমছে।
হাসপাতাল ভবনের সাত তলায় গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের সেবাদান কারী রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মীরাও চলে গেছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
মিরপুর থেকে আসা ইয়াছির আরাফাত জানান, তাদের বাসা মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে। সেখানে একটি বেসরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স করছে। গত দুইদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ইয়াছির বলেন, ‘আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছি। তবে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে নেই বললেই চলে। আসার সঙ্গে সঙ্গে সিট পেয়েছি।’
কথা হয় লালবাগ থেকে আসা এক নারী রোগীর সঙ্গে। তার নাম শিমু আক্তার গত বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সবদিক দিয়ে ভালো আছি। কিন্তু মনের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।’
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয় ৩৩ জন, ছুটি নেন ২৯ জন ভর্তি ছিল ১২৪ জন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয় ১৩ জন। ছুটি নেন একজন। ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৬ জন।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৬ মাত্র জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছুটি নিয়েছেন ৩০ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১২২ জন।
ডেঙ্গুর বিষয়ে কথা হয় মেডিসিন বহির্বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. শাইখ আব্দুল্লার সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বরের রোগী ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমেছে। আগে বহির্বিভাগে স্রোতের মতো রোগী আসত, এখন সে রকম নেই। দুই একজন করে রোগী আসছে। আজকে দুইজন রোগী এসেছিলেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের বহিবির্ভাগের শিশু বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক রাজেশ মজুমদার বলেন, ডেঙ্গু রোগী নাই বললেও চলে। আজকে একটা রোগীকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। গত মাসের মাঝামাঝাতেও ৩০/ ৩৫ শিশু ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসত।
তিনি বলেন, ‘গত মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা ছিল। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়েনি। সিটি করপোরেশন আরও আগে যদি ব্যবস্থা নিত তাহলে এত রোগী বাড়ত না। বর্তমানে রোগী সারাবছরই কিছু না কিছু থাকছে।’