Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তিন জেলায় বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু


৬ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৫৮

ঢাকা: চাঁদপুর, মেহেরপুর এবং বাগেরহাটে বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। এদিন বিকেলে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বজ্রপাতে নৈয়ব আলী (৩২ ) নামে এক কৃষকের মারা গেছেন। তার বাড়ি উপজেলার ধানখোলা গ্রামে। তার বাবার নাম হানিফ আলী।

স্থানীয়রা জানান, নৈয়ব আলী মহিষ নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন। বিকেলে হঠাৎ প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বজ্রপাত। প্রায় এক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়। বজ্রাপাতে মাঠেই তার মৃত্যু হয়। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন দুপুরে বজ্রপাতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বিমল মিস্ত্রি (৫৫) নামে এক দিন মজুর মারা গেছেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি উপজেলার হোগলাপাশা গ্রামে গাছ কাটতে গিয়েছিলেন।

হোগলাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল ইসলাম নান্না জানান, বিমল মিস্ত্রি তার বাড়ি থেকে কিছু দূরে গাছ কাটছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মোরেলগঞ্জ থানার পরিদর্শক কেএম আজিজুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দুপুরেই চাঁদপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন— অহিদা বেগম (৬০), রেহেনা বেগম (৩২), তার সন্তান সাব্বির ও সামিয়া।

তাদের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়। রেহানা বেগমের দুই সন্তান কুমিল্লার একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। দুপুর দেড়টার দিকে চাঁদপুরে তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

অহিদার বেগমের মেয়ে শাহিদা জানান, তার মা পরিবারের আরও তিনজনকে নিয়ে চাঁদপুরের তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, মৃত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বজ্রপাতে আহত হয়েছেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝলসানোর দাগ রয়েছে।

বজ্রপাত বজ্রপাতে মৃত্যু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর