লাইসেন্স বাতিলে বিটিআরসির জবাব দিল গ্রামীণফোন ও রবি
৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৩৫
ঢাকা: টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) লাইসেন্স বাতিলের শোকজের জবাব দিয়েছে দেশের দুই বৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি। জবাবে আদালত ও আইনের রেফারেন্স দিয়ে বিটিআরসির এ প্রক্রিয়াকে অন্যায্যই বলতে চেয়েছে অপারেটর দুটি।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সংশ্লিষ্ট দুটি অপারেটরের এ সংক্রান্ত পত্র কমিশন গ্রহণ করেছে।
এর আগে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা আদায়ের তৃতীয় ধাপ হিসেবে গ্রামীণফোন ও রবির টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না— সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিটিআরসি। ওই চিঠিতে এক মাসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। বিটিআরসির ওই দাবিকে ত্রু টিপূর্ণ বলে আসছে অপারেটর দুটি। দুই পক্ষের মিমাংসা না হওয়ায় এনওসিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সরকারের হস্তক্ষেপে নমনীয় হয় বিটিআরসি।
বকেয়া আদায়ে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার কথা জানায় সরকার। এক্ষেত্রে অপারেটর দুটি বিটিআরসির বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানানো হয়। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া পাওনা আদায়ের বিষয়ে সমাধান হবে বলেও জানানো হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও অপারেটর দুটির উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত আসে। তবে ওই ঘোষণার পরেও তেমন কোন ফলপ্রসূ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। নোটিশ প্রত্যাহার না করায় গ্রামীণফোন ও রবি গত ৩ অক্টোবর এর জবাব দিয়েছে।
অপারেটর দুটি জবাবে জানিয়েছে, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন তাই এই বিষয়ে বিটিআরসি এমন কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে পারে না। তারা আরও বলছে, টেলিযোগাযোগ আইনের ২৬ ধারা বাদ দিয়ে ৪৬ ধারায় চলে গেছে বিটিআরসি। ২৬ ধারা অনুযায়ী পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি (পিডিআর) অ্যাক্টে পাওনা আদায়ে মামলা করতে পারতো বিটিআরসি। সেটি না করে ৪৬ ধারায় লাইসেন্স বাতিলের মতো পদক্ষেপে চলে গেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এখানে অন্য লাইসেন্সিংয়ের মতো আচরণ তাদের সঙ্গে করা হয়নি বলে জানিয়েছে অপারেটর দুটি।
গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত বিটিআরসির ভিত্তিহীন শোকজ নোটিশটি যেহেতু তুলে নেওয়া হয়নি, সেহেতু গ্রামীণফোন তাদের প্রত্যুত্তর দাখিল করেছে।