শিশু সামিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২৯ অক্টোবর
৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৩৭
ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ঠিক করেছেন আদালত।
সোমবার (৭ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আর্জুন প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন।
শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম গত ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরের দিন গত ৮ জুলাই হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।
মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, গত ৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মাকে বলে শিশু সায়মা ওই ভবনের মনির হোসেনের ফ্ল্যাটে খেলতে যায়। সায়মার বাবা মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফিরে তার মাকে মেয়ের কথা জিজ্ঞসা করেন। তখন সায়মার মা জানায় যে, পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশি মনিরের বাসায় খেলতে গেছে। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় সায়মা বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মা সানজিদা আক্তার মনিরের বাসায় খুঁজতে যায়। এ সময় মনিরের বাসায় মেয়েকে না পেয়ে সমস্ত বিল্ডিং খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল্ডিংয়ের নবম তলার উত্তর পাশে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের সিঙ্কের নিচে গলায় পাটের রশি দিয়ে পেঁচানো ও রক্তাক্ত অবস্থা মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান। এরপর ওয়ারী থানার পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাট থেকে সায়মার মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, সায়মার মৃতদেহের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত থেকে জানা যায় যে, তাকে ধর্ষণের পর গলায় পাটের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে হারুন।