লিবিয়ায় পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক, উদ্ধার ৫
৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:১৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দুবাই, মিশর হয়ে লিবিয়া পাচারের উদ্দেশ্য আবাসিক হোটেলে হাজির করা পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ। একইসঙ্গে মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকেও আটক করেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) নগরীর স্টেশন রোডে মিড টাউন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমদের উদ্ধারের পাশাপাশি তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
আটক তিনজন হল- নারায়ণগঞ্জের আতাউর রহমান (৩৮) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৬) এবং মুন্সিগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর (৩৪)।
ওসি মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে পাঁচজন ভিকটিমকে আমরা পেয়েছি, তারা দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা এবং খুবই দরিদ্র। যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় পাঠিয়ে বেশি আয়ের লোভ দেখিয়ে তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়েছিল। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাদের প্রথমে শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বিমানযোগে দুবাইয়ে পাঠানো হত। সেখানে মানবপাচার চক্রের সদস্য অবস্থান করছে। দুবাইয়ে পৌঁছানোর পর ওই চক্রের সদস্যরা তাদের মিশরে পাঠাতেন। সেখান থেকে সড়কপথে তাদের লিবিয়ায় পৌঁছানো হত।’
পাঁচ ভিকটিমের কাছ থেকে ১৫টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মহসীন।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আটক তিনজনের সঙ্গে মোশাররফ নামে ঢাকার পল্টনের এক ব্যক্তির সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছি। মূলত তাদের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে গরীব-অসহায় মানুষকে লিবিয়ায় যেতে রাজি করে চট্টগ্রামে কিংবা অন্য কোনো সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে আসা। ট্রাভেল এজেন্সির কিছু লোকও এই চক্রে জড়িত, যারা দুবাইয়ের জাল কিংবা আসল ভিসা সংগ্রহ করে তাদের ওই দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। দুবাই থেকে মিশর হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা আছেন। লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর তাদের উপার্জন থেকে টাকা পরিশোধ করা হয়।’
আটক তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান।