রাজধানী কিয়েটো থেকে সরকারি কার্যক্রম সরিয়ে নিলেন প্রেসিডেন্ট
৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৫৫
ইকুয়েডরে জ্বালানি ভর্তুকি বন্ধের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের কারণে, সাময়িকভাবে সরকারি কার্যক্রম রাজধানী কিয়েটো থেকে বন্দর নগরী গুয়াইয়াকুইলে স্থানান্তরিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) প্রেসিডেন্ট তার নিজস্ব সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। খবরে জানিয়েছে বিবিসি।
এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট লেনিন মর্নেও বলেন, তার পক্ষে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব নয়। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য তিনি বিরোধী দলকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন, এই আন্দোলন কেবলমাত্র সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এরকম নয়। যেভাবে লুন্ঠন, ভাঙচুর এবং সহিংসতা চালানো হয়েছে তাতে স্পষ্টই বোঝা যায় কেউ না কেউ রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে এইসব ঘটাচ্ছে। তার সাবেক মিত্র রাফায়েল করেয়া এবং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডফেন্ট নিকোলাস মাদুরো এই ষড়যন্ত্রের পেছনে থাকতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
তবে, রাফায়েল করেয়া তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের এই অভিযোগ সত্যি নয়।
এর আগে, ইকুয়েডরের আদিবাসীরা আন্দোলন এবং অবরোধের নেতৃত্ব নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। এই আন্দোলন থেকে ইতোমধ্যেই একশ জনেরও অধিক আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে গত কয়েকদশকে তিনজন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে ইকুয়েডরে।