Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি— নবজাতকের কাছে আমার অঙ্গীকার


৯ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৪২

ফাইল ছবি

ঢাকা: সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি— নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

শিশু দিবস উপলক্ষে বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কতজন প্রতিবন্ধী শিশু আছে সে হিসাব করেছি আমরা। ১৬ লাখের ওপর প্রতিবন্ধীকে আমরা মাসিক ভাতা দিতে শুরু করেছি। তাদের যেন কেউ অবহেলা করতে না পারে। যেসব শিশু পড়ালেখা করছে তাদের আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বই করে দিয়েছি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য তাদের ভাষায় বই করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকে শিশুদের যেমন ভালোবাসতেন শিখেছিলেন। তেমন শিখেছিলেন মানুষকে ভালোবাসতে। যে কারণে স্বাধীনতার পরে তিনি শিশুদের জন্য আইন করে দিয়েছিলেন। নারী এবং শিশুদের শিক্ষা অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন।

শিশুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী তার ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, যে বয়সে সবাই বাবার হাত ধরে স্কুলে যায়, আমাদের সে সুযোগ খুব একটা হয়নি। বঙ্গবন্ধু অধিকাংশ সময় কারাগারে থাকতেন। তিনি কারাগারে থাকলে শিক্ষকদের কাছ তখন বকাঝকা শুনতে হতো। কিন্তু আমরা জানতাম বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য কাজ করছেন। মানুষের জন্য তিনি কারাগারে গেছেন। সেজন্য আমরা গর্ববোধ করতাম। তাই যত কষ্টই আসুক আমরা হাসি মুখে বরণ করতাম। আর এই শিক্ষাটা আমাদের দিয়েছিলেন আমাদের মা।

বিজ্ঞাপন

আমাদের একেবারে অবহেলিত একটি গোষ্ঠী ছিল, যেমন— হিজড়া, বেদে, চা বাগানে কাজ করে। তাদের দিকেও আমাদের বিশেষ দৃষ্টি আছে। তাদেরও আমরা ভাতা দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা শিখবে। কম্পিউটার শিক্ষা আমরা মাধ্যমিক থেকে বাধ্যতামূলক করেছিলাম, এখন প্রাথমিক পর্যায় থেকে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য আমরা মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিসিবি

আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করব। ২০৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব। আমাদের আজকের শিশুরাই তো হবে সেই আগামী দিনের কর্ণধার। ‘৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের শিশুরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে যেন শতবর্ষ পরে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে মর্যাদা পায়। আমরা আজ থেকে শিশুদের সেভাবে পরিচর্যা করতে চাই— বলেন শেখ হাসিনা।

শিশু দিবস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর