Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলতি বছর ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব


৯ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৫৭

ঢাকা: কাজের অনুমতি কিংবা আকামা থাকা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অজুহাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশে যাওয়া শ্রমিকদের। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে ১০৫ বাংলাদেশি শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে বড় শ্রমবাজারের এই দেশটি। এ নিয়ে চলতি বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব।

বুধবার (৯ অক্টোবর) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের SV 804 ফ্লাইটে ৪২ জন ও দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে SV 802 বিমানযোগে ৬৩ জন শ্রমিক দেশে ফেরেন। এ নিয়ে সৌদি আরব থেকে ধরপাকড়ের মুখে চলতি মাসেই দেশে ফিরলেন ৪৪১ কর্মী। সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা কর্মীদের বিমানবন্দরেরর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার ও পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এ সময় ফিরে আসা কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের সবজি ও খেজুর বিক্রি কিংবা ভিক্ষার মিথ্যা অভিযোগ এনে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে পিরোজপুর জেলার মোহাম্মদ শামীম জানান, দেড় মাস আগে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে দিয়ে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। আকামা থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

একইসঙ্গে ফেরত পাঠানো মুন্সিগঞ্জের মহিউদ্দিন জানান, তিনি ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে কাজ করছেন। কাজের অনুমতিসহ তার থাকারও বৈধতা ছিলো। দুদিন আগে এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হলে সৌদি ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি আকামা দেখালেও তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আটকের কারণ জানতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শামীম ও মহিউদ্দিনের মতোই নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানান নোয়াখালীর সাইফুল, কুমিল্লার রাজু, ঢাকার রাসেলসহ আরও অনেকেই। দেশে ফেরা কর্মীদের বক্তব্য, মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, এ বছর ১০ থেকে ১১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগ কর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করলে কর্মীদের ফেরত পাঠানো হতো। কিন্তু এবার ফেরত আসা কর্মীদের অনেকেই বলছেন, তাদের বৈধ আকামা ছিল। আসলেই এমনটা হয়েছে কী না সেটা দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখতে পারে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশিদের কেন ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেই কারণটা বের করে করণীয় ঠিক করা উচিত। এতে নতুন করে যারা সৌদি আরব যেতে চাইছেন তাদের বিপদে পড়ার সম্ভবনা কম থাকবে।

ফেরত শ্রমিক সৌদি আরব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর