আবরার হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি ছাত্রলীগের
৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৩৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রলীগ। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর গৃহীত পদক্ষেপের পর্যালোচনা ও দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
দ্রুত বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যেন আবরার হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা হয়। এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সে উপযোগী করে পুরো মামলাটি পরিচালনা করা হয়।’
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠনের পরিচয়-পদবী ব্যবহার করে কতিপয় ব্যক্তি অতি-উৎসাহী হয়ে সংঘটিত কোন কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতীতের মত বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও প্রশ্রয় দিবে না।’
ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবী জানাই, পলাতক অপর অভিযুক্তদেরও যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। একইসঙ্গে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের বাইরে আরও যদি কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদেরও যেন অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হয়।’
এ ঘটনায় কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ। তিনি বুয়েট ক্যাম্পাসে অবস্থিত শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে আর রুমে ফিরে আসেননি আবরার। সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৯ জনের নামে চকবাজার থানায় সোমবার রাতেই মামলা করেন আবরারের বাবা। এরই মধ্যে এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।