Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নিরাপত্তার নামে বাড়াবাড়ি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাই না’


৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:২৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগজুড়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তবে নিরাপত্তার নামে বাড়াবাড়ি করে উৎসবের আনন্দ নষ্ট করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে আসন্ন প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার পুলিশ সুপার ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেছেন ডিআইজি। চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে ডিআইজি কার্যালয়ে এই সভা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ডিআইজি ফারুক জানান, প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল বৌদ্ধমন্দির ও প্যাগোডায় তিনস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি মন্দিরভিত্তিক পুলিশের টিম থাকবে। টহল টিম মন্দিরের আশপাশের টহল দেবে। এর পাশাপাশি থানায় থাকবে রিজার্ভ ফোর্স। ডিআইজি, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা কার্যক্রম মনিটরিং করবেন। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে একটি করে নিরাপত্তা কমিটি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিআইজি।

‘প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটা ধর্মীয় উৎসব। আমাদের কাছে সুর্নিদিষ্ট কোনো আশঙ্কা বা হুমকি নেই। এরপরও আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। আমরা চাই কারও মধ্যে কোনো আতঙ্ক না থাকুক। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই আতঙ্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা চাই, মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে, আনন্দমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করুক,’ বলেন ডিআইজি।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘র‌্যাব সৃষ্টির পর দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপে র‌্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। অবস্থা এমন হয়েছে, মণ্ডপে র‌্যাবের গাড়ি দেখলেই দশনার্থীরা মণ্ডপ ছেড়ে পালিয়েছেন। তখন র‌্যাবকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন ভয় ছিল। সুতরাং আমরা নিরাপত্তার নামে বাড়াবাড়ি করে এই ধর্মীয় উৎসব মাটি করতে চাই না।’

ডিআইজি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে যে, হিন্দুদের দুর্গাপূজার উৎসবে মুসলমানরাও অংশ নেন আর মুসলমানের ঈদের উৎসবে হিন্দুরাও শামিল হন। আমাদের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বিশ্বে আর কোথাও নেই। যে দু’য়েকটি ঘটনা ঘটে, মন্দির ভাঙ্গা হয়, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একান্তই ব্যক্তিস্বার্থে। এখানে কোনো দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। আমাদের দেশে অনেক ইসলামী দল আছে। তারা কিন্তু মন্দির ভাঙতে যায় না। সুতরাং আপনারা নিশ্চিন্তে উৎসব করেন। পুলিশসহ সারাদেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে।’

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানান, চট্টগ্রাম জেলায় ৩০৮টি মন্দির ও প্যাগোডায় এবার প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে বৌদ্ধমন্দিরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বড় উৎসবস্থলের পাশাপাশি ছোটখাট আয়োজনেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসপি।

প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর