গণপূর্ত অধিদফতরের দুর্নীতির ১০ উৎস চিহ্নিত, প্রতিরোধে ২০ সুপারিশ
৯ অক্টোবর ২০১৯ ২১:১১
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিম গণপূর্ত অধিদফতরের ১০টি দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে একই সঙ্গে এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ২০ দফা সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নিকট গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের রিপোর্ট হস্তান্তর করেন।
এ সময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘জনশ্রুতি রয়েছে এমন দুর্নীতি প্রবণ ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে। টিমগুলো এসব প্রতিষ্ঠানের আইন, বিধি, পরিচালন পদ্ধতির দুর্বলতা, গাফিলতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকগুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে ওই প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কিছু সুপারিশ সম্বলিত এসব প্রতিবেদন প্রণয়ন করছে।’
এই প্রতিবেদনটিকে কমিশনের ১৫তম প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের নিজস্ব মতামতের সমন্বয়ে এই প্রদিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি পর্যবেক্ষণমূলক ও যৌক্তিক প্রতিবেদন।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রাক্কলন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই নিবিড় মনিটরিংয়ের প্রয়োজন কারণ এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যাপকতা রয়েছে। এমনকি ইজিপি প্রক্রিয়ায়ও ঠিকাদার-কর্মকর্তার যোগশাজশের ঘটনা ঘটছে। যেসব কর্মকর্তার নৈতিকতার বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে, তাদেরকে বড় বড় প্রকল্পে নিয়াগ না দেওয়াই সমীচীন। ছোট-বড় বুঝি না দুর্নীতি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম কমিশনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘কমিশনের এই প্রতিবেদন আমাদেরকে গাইডলাইন প্রদান করবে। যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করছেন। আমি তার কেবিনেটের একজন সদস্য হিসেবে দুর্নীতিকে ন্যূনতম সহ্য করবো না। আমি তার এই নীতিকে শতভাগ ধারণ করি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নিবেদিত থাকব।’