গুলি করে আনসার সদস্য হত্যা: তিন ছিনতাইকারীর মৃত্যুদণ্ড
৯ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৩৫
ঢাকা: রাজধানীর শ্যামলীতে গুলি করে এক আনসার সদস্যকে হত্যার মামলায় তিন ছিনতাইকারীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটির প্রায় ১৭ বছর পর আদালত বুধবার (৯ অক্টোবর) এ রায় দেন।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাপ্পু ওরফে অন্তু (পলাতক), তারিকুর রহমান ওরফে শিবলী হোসেন ওরফে উজ্জল (পলাতক) এবং শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল (পলাতক)। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি শুক্কুর আলীকে আরেক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলীকে ২০০২ সালে কনস্টেবল আ. জলিল ফরাজী, আনসার কনস্টেবল ফজলুল হক ডিউরিতে ছিলেন। ঘটনার দিন শ্যামলীর তিন নম্বর রোডের মাথায় কনস্টেবল আকমান হোসেন গুলির শব্দ শুনতে পান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ফজলুল জক উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। এছাড়া জলিল ফরাজী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। আকমান হোসেনকে লক্ষ্য করে ছিনতাইকারীরা রিভলবার দিয়ে গুলি করে। আকমান হোসেনও তার শর্টগান দিয়ে এক রাউন্ড গুলি করেন। ছিলতাইকারীরা জলিল ফরাজীকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে আনসার সদস্য ফজলুল হককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আকমান হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০০৩ সালের ৩১ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে এসআই নূরে আলম আদালতে চার্জশিট দেন। ২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য নেন।