Sunday 11 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রত্যয়


১০ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৯

সারাবাংলা ডেস্ক

আত্মহত্যা প্রতিরোধে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর)। সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ’। দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে র‌্যালি, সেমিনার, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন।

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী প্রজন্মকে মানসিকভাবে সুস্থ ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে একটি স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

দিব্সটি উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যা করে প্রায় আট লাখ মানুষ। আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। অধিকাংশ ব্যক্তিই আত্মহত্যার সময় কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকেন। সাধারণত সেটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না বা মানসিক রোগ নিশ্চিত হলেও যথাযথ চিকিৎসা করা হয় না বলেই আত্মহত্যা বেড়ে যাচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মহত্যার এ হার কমিয়ে আনা সম্ভব। এ প্রেক্ষাপটে এ বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ’ নির্ধারণ যথার্থ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, মানসিক রোগ প্রতিরোধে মনের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা অন্য সাধারণ রোগীর চেয়ে ভিন্ন ধারার এবং চিকিৎসার পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থনও এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে মাদকাসক্তি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, নগরায়ণসহ পারিবারিক ও সামাজিক নানা অস্থিরতা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

আবদুল হামিদ বলেন, জনগণের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগেরও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই, ঝাঁড়ফুক বা অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিহারে জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার মানসিক স্বাস্থ্যসেবাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং আপামর জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিশ্ব মানসিক দিবসের বাণীতে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালে ঢাকায় শেরে বাংলা নগরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে, যা ছিল মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে একটি মাইলফলক। দেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্র প্রসারিত করাসহ এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক মাদকাসক্তি, মানসিক চাপ এবং আত্মহত্যার ভাবনা পরিহার করে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে। তিনি সাইকিয়াট্রিস্ট, স্কুল সাইকোলজিস্ট, এডুকেশনাল সাইকোলজিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার ও ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারসহ সকল মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের আত্মতহ্যা রোধে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে তিনি সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।

বিজ্ঞাপন

বাণীতে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন শেখ হাসিনা। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর