Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর ভাঙন, ঝুঁকিতে ২০ গ্রামের মানুষ


১০ অক্টোবর ২০১৯ ১০:০১

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় দেখা দিয়েছে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন। এই ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। তাদের দাবি ভাঙন প্রতিরোধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। প্রতিদিনই ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ গৃহহীন হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হচ্ছে জরুরি পদক্ষেপ।

স্থানীয়রা জানান, তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। ভাঙনে ভিটে-মাটি হারাচ্ছে হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও লালচামারসহ তিস্তা নদী তীরবর্তী মানুষজন। তিস্তার এ ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই সব এলাকার ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বারবার ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকেই এসে আশ্রয় নিচ্ছে নদী পাড়ের উঁচু জায়গা ও ওয়াপদা বাঁধে। কিন্তু নদী ভাঙন ওয়াপদা বাঁধের কাছাকাছি চলে আসায় সেখানেও কতদিন থাকতে পারবে তা নিয়ে শংকিত আশ্রিতরা। দুশ্চিন্তা একটাই যেকোনো সময় নদী গর্ভে চলে যেতে পারে ওয়াপদা বাঁধও। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।

হরিপুরের আশি বছরের প্রবীণ ছোলেমান আলী বলেন, নদী আগে ১০/১৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। এখন ভাঙন বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে। যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হতে পারে বাড়িঘর। আগেই ভেঙে গেছে ফসলি জমি। শেষ সম্বল বাড়িটিও যেতে বসেছে।

কাপাসিয়ার আব্দুল হক বলেন, ছোটবেলা থেকে নদী ভাঙন রোধে সরকারি ব্যবস্থার নানা গল্প শুনে আসছি। কিন্তু এখন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ভাঙনপ্রতিরোধে বিভিন্ন স্থানে জরুরি কাজ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তিস্তার ভাঙনকবলিত এলাকায় ৪০১ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন আছে।

বিজ্ঞাপন

তা বাস্তবায়ন হলে ভাঙন মোকাবিলা সম্ভব হবে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি কাজের পাশাপাশি দ্রুত স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ; এমনটাই দাবি নদী পাড়ের মানুষদের।

গাইবান্ধা তিস্তা নদীর ভাঙন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর