শহরগুলোর দূষণ মাপবে গুগলের নতুন প্রযুক্তি
১০ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৪৮
ইউরোপের মতো যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোরও দূষণ এবং কার্বন নিঃসরণের হার পরিমাপ করতে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। গুগলের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে শহরের কর্তৃপক্ষও এই কাজ করতে পারবে। খবরে জানিয়েছে বিবিসি।
এই প্রযুক্তি গুগল ম্যাপ থেকে যানবাহন এবং বাড়িঘরের ডাটা সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে তারা সবার জন্য উন্মুক্ত যে তথ্যগুলো আছে সেগুলোই ব্যবহার করবে। এর মাধ্যমে ওই সকল যানবাহন এবং বাড়িঘর থেকে কি পরিমাণ দূষণ হচ্ছে তার পরিমাণ বের করা যাবে। প্রাথমিকভাবে এই প্রযুক্তি বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, ওলভারহ্যাম্পটন, কভেন্ট্রি, ডাবলিন, কোপেনহেগেনের জন্য প্রযোজ্য হবে।
তবে, গুগলের পরিকল্পনা রয়েছে আসছে সপ্তাহে আরও কিছু শহরকে এই তালিকায় সংযুক্ত করা। এবং উন্নততর প্রযুক্তি সন্নিবেশনের মাধ্যমে যেকোনো শহর যেন একটি অনলাইন ফর্ম পূরণ করার মাধ্যমে এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে সেই ব্যবস্থাও করার প্রক্রিয়া চলছে।
দ্য এনভায়রনমেন্টাল ইনসাইটস এক্সপ্লোরার (ইআইই) চারটি ক্যাটেগরিতে ডাটা সন্নিবেশন করবে।
১। বাড়িঘর থেকে দূষণ ২। যানবাহন থেকে দূষণ ৩। সাধারণ দূষণ ৪।সৌর সম্ভাবনা
এই ড্যাসবোর্ডটি থেকে শহরের জন্য তথ্য তৈরি হবে, কিভাবে তারা তাদের দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে পারে। যেমনঃ রাস্তায় আরও অধিক সাইকেল লেন তৈরি করুন, বাসাবাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন।
আলাদা আরেকটি প্রকল্প এয়ার ভিউয়ের অংশ হিসেবে বায়ু দূষণের পরিমাপ করা হচ্ছে। গুগল স্ট্রিট ভিউয়ের মাধ্যমে লন্ডন এবং কোপেনহেগেনে গাড়ি চালানোর কারণে কি পরিমাণ বায়ু দূষিত হলো, তা জানা যাবে। এবং ইআইই টুলের মাধ্যমে তথ্যগুলো শেয়ার করা হবে।
কোপেনহেগেন নশহরের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কোপেনহেগেন শহরের বাতাস কি পরিমাণ দূষিত হচ্ছে তার একটা হিসাব আমরা পাচ্ছি। সিটি সেন্টার এবং রাস্তাগুলোতে আল্ট্রাফাইন পার্টিকেল কি পরিমাণ ঘুরে বেড়াচ্ছে তারও একটা হিসাব আমরা পাচ্ছি। যার মাধ্যমে চাইলেঈ আমরা শহরের দূষোণ সমস্যা সমাধান করতে পারবো। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের মেয়র এন্ডি স্ট্রিট জানিয়েছেন, আমরা ওয়েস্ট মিডল্যান্দে জলবায়ু সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছি। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা কার্বন শূণ্য শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবো।
যদিও শহরগুলোর কর্তৃপক্ষ এবং প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এর আগে একসাথে কাজ করার ইতিহাস অতটা সন্তোষজনক নয়। তারপরও গুগলের এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে শহরগুলো ঘুরে দাঁড়াবে বলে সংশ্লিষ্ঠরা প্রত্যাশা করছেন।