Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পঞ্চম দিনে কিছুটা শিথিল কারা এলাকার নিরাপত্তা


১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:২৪

শাহ্ ওমর, স্টাফ করেসপনডেন্ট

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিশেষ জজ আদালত। এরপর তাকে নিরাপত্তার স্বার্থে কাশিমপুর কারাগারে না রেখে নাজিমউদ্দীন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয়। হঠাৎ করেই বাড়ানো হয় ওই এলাকার নিরাপত্তা। এতে বিপত্তিতে পড়েন এলাকাবাসীরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর চলাফেরায় আরোপ করা হয় বিধি-নিষেধ। তবে আজ (সোমবার) কারাগারে খালেদা জিয়ার অবস্থানের পঞ্চম দিনে নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কারা ফটকের নিরাপত্তা থাকা পুলিশ কামরাঙ্গীরচর থানার সাব-ইন্সপেক্টর রমজান সারাবাংলাকে বলেন, নাজিমউদ্দীন রোডের কারামুখে বসানো ব্যারিকেডের ভেতরের পরিবেশ গতকালের চেয়ে আজ কিছুটা শিথিল রয়েছে। আজ ভোর থেকে এলাকাবাসী, দোকানদারসহ সর্ব-সাধারণের জন্য ব্যারিকেডের ভেতরকার প্রবেশপথ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই তল্লাশি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এতদিন দোকানপাট খোলার অনুমতি ছিল না। আজ থেকে তারা দোকান খুলতে পারবেন। এছাড়াও নিরাপত্তাস্বার্থে এলাকাবাসীর বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যারিকেডের ভেতরে গাড়ি প্রবেশ এখনো নিষেধ রয়েছে।

এদিকে কারা ফটকে নাজিমউদ্দীন রোডের ব্যারিকেডের ভেতরে বন্ধথাকা ৪৫টি দোকান খুলেছে। চকবাজার থানা গতরাতের ব্যবসায়ীদের ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলো আজ সকাল থেকে তারা দোকানপাট খুলতে পারবেন।

আব্দুল কুদ্দুস নামে একজন ফার্নিচার দোকানি সারাবাংলাকে বলেন, সকাল থেকে আমরা দোকানপাট খোলার অনুমতি পেয়েছি। দোকান খুলেও বা লাভ কি? বেচা-কেনা নেই, একজন খদ্দেরেও দেখা মেলছে না। ক্রেতাদের ভেতর এখনো আতঙ্ক বিরাজ করায় তারা পণ্য ক্রয় করতে পুলিশ ব্যারিকেডের ভেতর প্রবেশ করছে না।

বিজ্ঞাপন

রাজু নামে আরেকজন দোকানদার জানিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা গুটিয়ে এলাকা ছাড়ায় উপক্রম হবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, অভিভাবকরা নিরাপত্তা স্বার্থে সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছে না। বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া এই রোডেই রয়েছে আনোয়ারা বেগম গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে এসএসসি পরীক্ষার হল পড়ায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের।

সেখানে উপস্থিত অভিভাবকরা সারাবাংলাকে তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে। পুলিশ তল্লাশিসহ সার্বক্ষণিক মিডিয়ার গাড়ি রাস্তার পাশে অবস্থান করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যার ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ঠিকসময়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা এ থেকে নিস্তার চাই। চলমান পরিস্থিতির কারণে নাজিমউদ্দীন রোড, আলীনিকিদেওড়ি রোড, সাতরওজা রোড, হোসেনী দালান রোডের বাসিন্দাদের জীবনযাপন বিষাদময় হয়ে উঠেছে।

তবে কারাগারের মূল ফটকের সামনের ব্যারিকেডটি এলাকাবাসী, দোকানিসহ সাধারণের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যারিকেড অতিক্রম করার অনুমতি নেই।

সারাবাংলা/এসও/এনএস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর