রিশা হত্যা মামলায় ওবায়দুলের মৃত্যুদণ্ড
১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:০৪
ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে ছুরিকাঘাতে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৫) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি ওবায়দুল হকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।একইসঙ্গে আসামির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় রিশার মা তানিয়া হোসেন এবং তার সহপাঠীরা উপস্থিত ছিল। রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে রিশার মা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তার সহপাঠীরা উল্লাস প্রকাশ করে।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামির উপস্থিততে রায় ঘোষণার জন্য ৬ অক্টেবর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। কিন্তু ওই দিন আসামি ওবায়দুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য আদালত রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১০ অক্টোবর নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রিশাকে ছুরিকাঘাত করেন ওবায়দুল হক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট মৃত্যু হয় রিশার। এ ঘটনায় তার মা তানিয়া হোসনে বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে একটি পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সের রশিদে বাসার ঠিকানা ও রিশার মায়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেই রশিদ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান (২৯) রিশাকে ফোনে উত্ত্যক্ত করতেন। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে ওবায়দুল স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। পরের বছর ১৭ এপ্রিল মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।